ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা খু*ন....

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ১৯ ২১:৫১:৪০
ব্রেকিং নিউজ: পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা খু*ন....

২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার নৃশংস হত্যার ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত হিসেবে দাবি করেছেন শহিদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিম ফেরদৌসি। বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিয়ে এ কথা জানান তিনি।

অভিযোগ জমা দেওয়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনেরা। মেহরিম ফেরদৌসি বলেন, "এই হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলবেন না। বিদ্রোহ এ রকম হয় না। এটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।"

তিনি আরো বলেন, "ওইদিন পরিকল্পনা করে মেরে লাশ পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। এমনকি শিশুদেরও বুট দিয়ে লাথি মেরে তুলে নেওয়া হয়েছিল।"

মেহরিম ফেরদৌসি অভিযোগ করেন, "দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমাদের দেশের তুখোড় কিছু অফিসারকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশের সামরিক শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে।"

তিনি আরো জানান, "ওই সময় অনেক সাংবাদিক শহিদদের দুর্নীতির অপবাদ দিয়েছেন, যা শহিদ পরিবারের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। অথচ তারা ছিলেন সৎ এবং নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা। যদি কেউ দুর্নীতিতে জড়িত থাকত, তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ অবশ্যই থাকার কথা।"

তিনি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি জানিয়ে বলেন, "আমাদের দেশের অফিসারদের এভাবে হত্যা করা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।"

শহিদ পরিবারের সদস্যরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ সময় তৎকালীন বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদ, শহিদ কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ ১৫ থেকে ২০ জন উপস্থিত ছিলেন।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে ঘটে যায় দেশের ইতিহাসে অন্যতম নির্মম হত্যাকাণ্ড। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নিহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি আজও অম্লান।

শহিদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণ ও দায়ীদের বিষয়ে নতুন করে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এখন সবার প্রত্যাশা, ঘটনার সঠিক বিচার এবং ন্যায়বিচারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সান্ত্বনা পাবেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে