ঢাকা, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হটাৎ করে দেশ থেকে কোটিপতিরা উধাও, সামনে আসলো অবিশ্বাস্য যত সব তথ্য

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ১১ ২৩:০০:৫৭
হটাৎ করে দেশ থেকে কোটিপতিরা উধাও, সামনে আসলো অবিশ্বাস্য যত সব তথ্য

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে এক বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোর মোট জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২১৫,০০০ টাকা। দেশটির মোট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে এই পরিমাণ জমা পরিগণিত হয়েছে ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকায়।

এছাড়া, দেশের ব্যাংকিং খাতে চলমান দুর্নীতির ঘটনাগুলোও বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খারাপ ঋণের পরিমাণ ১,১৭,১২৭ কোটি টাকা, যা দেশের অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক। এই বিপুল পরিমাণ ঋণের মধ্যে প্রায় ৪১ শতাংশ ঋণই কোনোভাবে ফেরত আসেনি, ফলে ব্যাংকগুলোর উপর বিশাল চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ১,০৬৮ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ২০২৪ সালের জুন মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০৮৭ হাজার কোটি টাকায়। সেপ্টেম্বর মাসে ঋণের পরিমাণ বেড়ে ১,১৭,১২৭ কোটি টাকা হয়ে গেছে।

এদিকে, সরকারের ঋণের পরিমাণও এক লাফে বেড়েছে, যা ব্যাংকিং খাতের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকার যদি ব্যাংকিং খাতে আরো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতো এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতো, তবে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা অনেক ভালো হতে পারতো। তারা আশঙ্কা করছেন যে, দেশের সাধারণ জনগণের জন্য এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে যদি কোনো দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।

এই অবস্থা শুধু ব্যাংকিং খাতকে সংকটে ফেলছে না, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, সরকারের উচিত ঋণ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে, যাতে দেশের ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে