ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: পরিস্থিতি থমথমে, পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ১১ ১৪:১৫:৩১
ব্রেকিং নিউজ: পরিস্থিতি থমথমে, পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে

সরকার ঘোষিত ৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের দাবিতে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংহপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোর অন্তত ১২টি কারখানায় শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে অংশ নেন। এর ফলে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

শিল্প পুলিশ ও ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে জানা গেছে, হামীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, মেডলার, নেক্সট কালেকশন, আল-মূসলীম, এবং সেতারা গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা সকাল থেকেই কর্মবিরতি পালন করেন। অনেক কারখানার শ্রমিকরা ফ্লোরে বসে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় নাসা ও ট্রাউজার লাইন কারখানা শ্রম আইন ১৩(১) ধারায় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া ব্যান্ডো ডিজাইন কারখানাও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভুইয়া জানান, "শ্রমিকরা সরকারের প্রস্তাবিত বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তারা ১৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি দাবি করছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি জানাচ্ছেন এবং কারখানার ভেতরেই অবস্থান করছেন।"

পুলিশ সুপার আরও জানান, শ্রমিকদের দাবির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি যাতে আরও উত্তেজিত না হয়, সে জন্য কারখানাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশৃঙ্খলা এড়াতে শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মালিকপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং প্রশাসনের মধ্যে দ্রুত আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী, শিগগিরই এ সমস্যার একটি সমাধান বের করা সম্ভব হবে।

আশুলিয়ার পোশাক শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১২টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের ৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকদের ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের দাবিতে আন্দোলন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে শ্রমিক-মালিকপক্ষের মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে