ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সারা দেশে আলোচনা ঝড়” হুট করে আজ আন্দোলন নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন তারেক জিয়া

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ০৭ ২১:২৮:১৪
সারা দেশে আলোচনা ঝড়” হুট করে আজ আন্দোলন নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন তারেক জিয়া

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির একক আন্দোলনে নয়, বরং সকল রাজনৈতিক দল এবং জনগণের একত্রিত প্রচেষ্টার ফলেই স্বৈরাচারী শাসকরা বিদায় নিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র আন্দোলন ছিল সামগ্রিকভাবে জনগণের সমর্থনে শক্তিশালী, যা সফলতা অর্জন করেছে।

শনিবার বিকেলে ফরিদপুরে বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা এবং জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, "আমরা দুই বছর আগে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ২৭ দফা দিয়েছিলাম এবং আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল, শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নিতে যাচ্ছে, তবে কবে তা হবে, সেটা আমরা জানতাম না।"

তারেক রহমান বলেন, “বর্তমানে ৩১ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র তখনই সফল হবে যখন জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করা সম্ভব হবে। এই জন্য ৩১ দফাকে জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে, তাদের কাছে এটি তুলে ধরতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের সিদ্ধান্ত মেনে চলব।”

তিনি আরও বলেন, "এখন ৩১ দফার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন এবং সেটি ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে হলে, সকলকেই একত্রে কাজ করতে হবে। প্রত্যেক সদস্য, নেতৃবৃন্দ, সবাইকে তাদের অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। বিএনপির নেতা, অ্যাম্বাসেডর বা প্রতিনিধি হিসেবে আপনার কাজ করবেন।"

তারেক রহমান জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, “যদি জনগণ জানে না বিএনপি কী চায়, ছাত্রদের জন্য, নারীদের জন্য, কৃষকদের জন্য এবং শ্রমিকদের জন্য আমাদের পরিকল্পনা কী, তবে আমাদের সমর্থন থাকবে না। জনগণকে আমাদের বার্তা পৌঁছাতে হবে।"

তিনি বলেন, "যদিও প্রথমবারেই আমরা সব কিছু পেয়ে যাব না, তবে আমরা যে পথ শুরু করেছি, সেটি ধাপে ধাপে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে সফল হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য হল একটি জবাবদিহিতার সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে শুধু প্রধানমন্ত্রী বা এমপির নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরের প্রতিনিধির কাছে জবাবদিহিতা থাকবে।"

তারেক রহমান দেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, "আমরা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই যেখানে জনগণ আর দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যাবে না, ছাত্ররা শিক্ষাজীবন শেষ করে কাজ পাবে, কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে।"

তিনি বলেন, "এমনি এক জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য আমাদের একত্রিত হতে হবে। আমরা সবাই মিলে কাজ করলেই সফলতা আসবে, যেমনটি আমরা একসাথে স্বৈরাচারী শাসকদের বিদায় করেছিলাম।"

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ৩১ দফা প্রণয়ন কমিটির সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ। এছাড়া, তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মেহেবী আমিনও বক্তব্য রাখেন।

এ কর্মশালায় ফরিদপুর ছাড়াও রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, এবং গোপালগঞ্জের বিএনপি নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতৃবৃন্দ তারেক রহমানকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন, যার জবাব তিনি দেন।

শেষে, তারেক রহমান সকল নেতাকে বলেন, "যতদিন না জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারছি, ততদিন আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী হওয়া উচিত।"

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে