ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এইমাত্র পাওয়া: পালিয়ে গেলেন গু*লি ছুড়তে ছুড়তে, দুই পু*লি*শসহ চারজন আ*হ*ত

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ০৫ ১৯:১৪:০৭
এইমাত্র পাওয়া: পালিয়ে গেলেন গু*লি ছুড়তে ছুড়তে, দুই পু*লি*শসহ চারজন আ*হ*ত

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান রূপ নেয় নাটকীয় উত্তেজনায়। বুধবার রাতে সাজ্জাদের অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালানো হলেও, পুলিশের ছয় রাউন্ড গুলির জবাবে পাল্টা গুলি ছুড়ে এবং পাশের ভবনে লাফ দিয়ে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হন।

অভিযানের সময় সন্দেহভাজন এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি সাজ্জাদের স্ত্রী বলে দাবি করা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

অভিযানের নাটকীয় মোড়বুধবার রাত ১১টার দিকে বায়েজিদের অক্সিজেন মোড়ের জালালাবাদ পেট্রোল পাম্পের পেছনের একটি ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। সাজ্জাদ প্রথমে নিজেকে আত্মসমর্পণ করার ভান করলেও হঠাৎ গুলি চালানো শুরু করে। পুলিশের ছয় রাউন্ড গুলির জবাবে পাল্টা গুলি ছুড়ে পাশের ভবনে লাফ দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এই সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সাজ্জাদ চট্টগ্রামের বায়েজিদ এবং চান্দগাঁও এলাকায় একটি ত্রাসের নাম। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক হত্যা, ডাকাতি এবং চাঁদাবাজির মামলা। সর্বশেষ, ২৯ আগস্ট অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে সংঘটিত দ্বৈত হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সাজ্জাদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। তার অপকর্ম স্থানীয় জনজীবনে ভীতির সঞ্চার করেছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইস উদ্দিন বলেন, “সাজ্জাদ একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তার অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে পালানোর সময় গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে। সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

পুলিশ জানায়, অভিযানের সময় আটক হওয়া সন্দেহভাজন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দেওয়া তথ্য সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে সহায়ক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাজ্জাদের মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অপরাধমূলক কার্যক্রম শুধু আইনশৃঙ্খলার জন্য নয়, সমাজের জন্যও একটি বড় হুমকি। এমন ঘটনা এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে। তবে পুলিশের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে, অপরাধ দমনে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

অভিযানের সময় সাজ্জাদ পালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে মামলা এবং তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের আরও অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে পুলিশের অভিযান ব্যর্থ হলেও এটি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা প্রেরণ করেছে। সাজ্জাদের পলায়ন পুলিশি কার্যক্রমে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তবে দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে এই অভিযান সফলতা পাবে এবং স্থানীয় মানুষের মনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আস্থা আরও বাড়বে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে