ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এই মাত্র ঘোষণা করা এলপিজি গ্যাসের নতুন দাম

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ০৩ ১৮:৫৮:১২
এই মাত্র ঘোষণা করা এলপিজি গ্যাসের নতুন দাম

চলতি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রেখে ১,৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অন্যান্য ওজনের এলপি গ্যাস এবং গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। গাড়ির জন্য ব্যবহৃত প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৬.৮১ টাকাই রয়েছে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এই নতুন দর ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, মো. মিজানুর রহমান, মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং সচিব ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান।

সরকারি কোম্পানির সরবরাহকৃত সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম ৬৯০ টাকাও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে এটি দেশের চাহিদার মাত্র ১ থেকে ১.৫ শতাংশ সরবরাহ করতে সক্ষম, যা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই অপ্রতুল।

গত বছরের জুলাই মাসে ১২ কেজি এলপিজির দাম ছিল মাত্র ৯৯৯ টাকা। তবে এর পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব এবং ডলারের দামের ওঠানামার কারণে দামে ধারাবাহিক পরিবর্তন এসেছে।

২০২৩ সালের মার্চ মাসে ১২ কেজি এলপিজির দাম সর্বোচ্চ ১,৪৮২ টাকায় পৌঁছায়। এরপর কিছু মাসে দাম কিছুটা কমলেও অক্টোবর ২০২৩-এ দাম বেড়ে ১,৪৫৬ টাকায় স্থির হয়। ডিসেম্বর মাসেও এই দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

গৃহস্থালি, রেস্তোরাঁ, পরিবহন এবং ছোট-বড় শিল্পকারখানার জন্য এলপিজির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংকট এবং নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় রান্নার জন্য এলপিজির ওপর নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

বিইআরসি সৌদি আরামকোর নির্ধারিত মূল্য (সৌদি সিপি) এবং ডলারের বিনিময় হার বিবেচনায় এনে প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে দেশের বাজারে এই নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে এলপিজি বিক্রি করছেন বলে ভোক্তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

বিইআরসি জানায়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।

দেশে গ্যাস সংকট এবং পাইপলাইনে সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে এলপিজির ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এলপিজি আমদানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণে দামের ওঠানামা ভোক্তাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।

বিইআরসি বলছে, বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা এবং নির্ধারিত মূল্যের বিষয়টি নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে ভবিষ্যতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি।

দামের স্থিতিশীলতায় আশার আলোএলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকায় স্বল্পমেয়াদে ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও দীর্ঘমেয়াদে এলপিজির দাম স্থিতিশীল রাখতে আমদানি নির্ভরতা কমানোর বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে