ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শীতের শুরুতে জ্বর-সর্দি-গলাব্যথা এড়াতে করণীয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ২৯ ০৭:১৯:১০
শীতের শুরুতে জ্বর-সর্দি-গলাব্যথা এড়াতে করণীয়

শীতের শুষ্ক ও ধুলোবালিময় আবহাওয়া অনেক সময়ই জ্বর, সর্দি, কাশি এবং গলাব্যথার মতো সমস্যার সৃষ্টি করে। তাপমাত্রার ওঠানামা এবং ঠান্ডা আবহাওয়া এসময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে ফেলে। শীতের শুরুতেই এসব অসুবিধা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন সচেতনতা এবং কিছু নিয়ম মেনে চলা।

কেন শীতকালে জ্বর-সর্দি বেশি হয়?

শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে ভাইরাসজনিত রোগ, যেমন সর্দি-কাশি এবং ফ্লুর প্রকোপ বেড়ে যায়। ধুলোবালির কারণে শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানির মতো সমস্যাও দেখা দেয়। শীতের সকালে ও রাতে ঠান্ডার প্রকোপ বেশি থাকে, যা শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় নেয়। এতে ঠান্ডা লেগে রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

জ্বর-সর্দি-কাশি এড়াতে করণীয়

শীতের সময় সুস্থ থাকতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। এখানে পাঁচটি সহজ পরামর্শ দেওয়া হলো, যা আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে:

১. তাপমাত্রার প্রতি সতর্ক থাকুন

শীতের শুরুর এই সময়ে অনেক সময় দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা অনুভূত হয়। তাই খুব বেশি ফ্যান চালানো বা এসির তাপমাত্রা কমিয়ে ফেলা উচিত নয়। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রাখা ভালো। অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।

২. ঠান্ডা পানিতে গোসল এড়িয়ে চলুন

যাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেশি, তারা শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না। এই সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করাই ভালো। সকাল বা সন্ধ্যা—যে কোনো সময় গোসলের জন্য গরম পানি ব্যবহার করুন।

৩. সর্দি-কাশির শুরুতেই ব্যবস্থা নিন

শীতকালে সামান্য সর্দি-কাশিও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাই আগে থেকেই নিয়মিত লবণ পানিতে গার্গল করুন এবং গরম পানির ভাপ নিন। এই অভ্যাস সর্দি-কাশি দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে।

৪. সংক্রমণ এড়াতে সচেতন থাকুন

বাড়িতে বা অফিসে যদি কারও সর্দি-কাশি থাকে, তার কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। প্রয়োজনে নিজে মাস্ক পরুন বা তাকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন। ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। কখনোই হাত না ধুয়ে মুখ, চোখ বা নাকে হাত দেবেন না।

৫. পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই। শীতকালে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লেবু, কমলালেবু এবং আমলকী বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া শরীরের শক্তি ধরে রাখতে অন্যান্য মৌসুমি ফল ও সবজি খান।

বয়স এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা

বয়স্ক এবং শ্বাসকষ্টে ভোগা ব্যক্তিদের জন্য শীতকাল আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। হাঁপানির রোগীরা অবশ্যই ইনহেলার সঙ্গে রাখবেন এবং সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। সামান্য অবহেলাও বড় বিপদের কারণ হতে পারে।

উপসংহার

শীতকালের শুরুতে জ্বর-সর্দি-গলাব্যথার মতো সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব, যদি আমরা সচেতন হই এবং মৌসুমি পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিই। নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, সঠিক পোশাক ব্যবহার, এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ আপনাকে সুস্থ রাখবে। শীতকে উপভোগ করতে হলে আগে শরীরকে সুস্থ রাখা জরুরি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে