ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

৪২ রানে অল-আউট, টেস্টে সর্বনিম্ন দলীয় রানের লজ্জার রেকর্ড

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ২৩ ১৫:৫৩:৫১
৪২ রানে অল-আউট, টেস্টে সর্বনিম্ন দলীয় রানের লজ্জার রেকর্ড

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডে ইতিহাস গড়েছে রাজশাহী বিভাগ, তবে তা একেবারেই ভুল কারণে। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪২ রানে অলআউট হয়ে এনসিএলের সর্বনিম্ন দলীয় রানের রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে রাজশাহী।

ঢাকার পেসার সুমন খানের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপ। সুমন একাই তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট, যেখানে তিনি ইনিংসের ২১তম ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে হ্যাটট্রিক করেন। তার বোলিং ফিগার ছিল ৭.৫ ওভারে ২ মেইডেনসহ মাত্র ১৮ রানে ৭ উইকেট।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহীর শুরুটা হয়েছিল ভয়াবহ। জাতীয় দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম শূন্য রানে ফিরে যান। তার পথ ধরে রাজশাহীর আরও চার ব্যাটার রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। পুরো ইনিংসে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল দুজন—সাব্বির হোসেন ১০ এবং এসএম মেহরাব হোসেন ১৮ রান করেন। এই দুজনের ইনিংসই ছিল দলের হয়ে উল্লেখ করার মতো একমাত্র পারফরম্যান্স।

রাজশাহীর ৪২ রানের এই ইনিংস ভেঙে দিয়েছে বরিশালের আগের রেকর্ড। ২০২৩-২৪ মৌসুমে খুলনার বিপক্ষে বরিশাল ৪৬ রানে অলআউট হয়েছিল, যা এতদিন এনসিএলের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর হিসেবে ছিল।

সুমন খানের হ্যাটট্রিক এবং সাত উইকেট শিকারের পাশাপাশি ঢাকার অন্য বোলাররাও রাজশাহীর ইনিংস গুঁড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রিপন মন্ডল, মোহাম্মদ এনামুল হক ও রুবেল মিয়া প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট শিকার করেন।

রাজশাহীর হতাশাজনক ব্যাটিংয়ের জবাবে ঢাকার ব্যাটাররা দেখিয়েছেন দারুণ দৃঢ়তা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তারা ২৬ ওভারেই ১২৬ রান তুলে ফেলেছে, ৮৪ রানের লিড নিয়েছে রাজশাহীর বিপক্ষে। দুই ওপেনার জিসান আলম (৪৪ রান) এবং রনি তালুকদার (৪০ রান) দলকে ভালো শুরু এনে দেন। যদিও দুজনই ফিফটির কাছে গিয়েও আউট হন।

এই ম্যাচ দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া জিসান তার ব্যাটিং দিয়ে নজর কাড়েন। ঢাকার এই লিড তাদের জয় নিশ্চিত করার পথে বড় ভূমিকা রাখবে।

রাজশাহীর বোলাররা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ থামাতে। আসাদুজ্জামান পায়েল তিনটি এবং মোহর শেখ দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন। তবে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বোলারদের প্রচেষ্টা প্রভাব ফেলতে পারেনি।

সুমন খানের জন্য এটি ছিল এক স্মরণীয় দিন। তার বিধ্বংসী স্পেল এবং হ্যাটট্রিক এনসিএলের ইতিহাসে ঢাকার হয়ে সেরা বোলিং পারফরম্যান্সের মধ্যে একটি হয়ে থাকবে।

সংক্ষেপে স্কোরকার্ড

রাজশাহী প্রথম ইনিংস: ৪২ (সুমন খান ৭/১৮)

ঢাকা প্রথম ইনিংস: ১২৬/৫ (জিসান আলম ৪৪, রনি তালুকদার ৪০; আসাদুজ্জামান পায়েল ৩/৩২, মোহর শেখ ২/৪১)

রাজশাহীর এই লজ্জাজনক ব্যাটিং পারফরম্যান্স এনসিএলের ইতিহাসে তাদের জন্য একটি কালো দিন হয়ে থাকবে। অন্যদিকে, ঢাকার জন্য এটি ছিল সুমন খানের দুর্দান্ত বোলিং এবং দলীয় সাফল্যের দিন। ম্যাচের পরের অংশে ঢাকা তাদের এই লিড কাজে লাগিয়ে কতদূর যেতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে