ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের সমাবেশে বাধা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বার্তা পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ১৯ ১২:২৪:৫৪
আওয়ামী লীগের সমাবেশে বাধা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বার্তা পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ নভেম্বর স্থানীয় সময় সোমবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা প্রদান, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন এবং সাংবাদিকদের হয়রানি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিষয়গুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এক ভারতীয় সাংবাদিক বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার আশঙ্কাজনক খবর পাওয়া যাচ্ছে। নারীদের ওপর হামলা, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন, সাংবাদিকদের জেলে পাঠানো এবং প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের মতো ঘটনাগুলো উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচকরা বলছেন, দেশ আবারো সেই পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে যেখান থেকে এটি শুরু হয়েছিল। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?”

মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জবাবে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা সরাসরি কী আলোচনা করেছি তা এখানে জানানো সম্ভব নয়। তবে আমরা স্পষ্ট করেছি যে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি এবং কোনো সরকার যেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহিংস দমন-পীড়ন না চালায়, সেটি নিশ্চিত করতে চাই।”

এরপর সাংবাদিক বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মন্তব্য আছে কিনা। জবাবে মিলার বলেন, “আমি বিষয়টি নোট করে রাখব এবং আমাদের এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখব।”

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী লীগের সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন এবং সাংবাদিকদের হয়রানি নিয়ে সমালোচনা চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিক্রিয়া মূলত বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধী পক্ষের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, যা দেশটির গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই ধরনের বক্তব্য প্রাসঙ্গিক। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সহিংসতা বন্ধে সব পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে