ঢাকা, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জাকের-অঙ্কনের ঝড়ো ব্যাটিং ও হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয়ের পথে বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ১৮ ০৯:৪৩:৫০
জাকের-অঙ্কনের ঝড়ো ব্যাটিং ও হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয়ের পথে বাংলাদেশ

টপ অর্ডারের ব্যর্থতা যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের চিরচেনা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান-ভারত সফরের পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও একই চিত্র দেখা গেছে। ক্যারিবিয়ান সফরের প্রস্তুতি ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

চারদিনের ম্যাচ বৃষ্টির কারণে নেমে আসে দুই দিনে। প্রথম দিন ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। ষষ্ঠ ওভারেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৮ রান করে ফিরে যান জয়। ১৯ বলের ছোট্ট ইনিংসটি যেন টপ অর্ডারের দুর্বলতাকেই নতুন করে সামনে নিয়ে আসে।

জাকির হাসান কিছুটা চেষ্টা করলেও ৩৪ বলে ১৫ রান করে আউট হন জাইর ম্যাকঅ্যালিস্টারের বলে। এরপর মুমিনুল হক এবং শাহাদাত হোসেন দীপুর মধ্যে ছোট পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। তবে বৃষ্টির বাধার পর দীপু ৩০ বলে ২৫ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন। মুমিনুল থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫৮ বলে ৩১ রান করার পর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। স্কোরবোর্ডে তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০১ রানেই ৪ উইকেট।

সেই চাপ সামাল দেন অভিজ্ঞ লিটন দাস। দলে ফিরে ৫৩ বলে ৩১ রানের সাবলীল ইনিংস খেলেন তিনি। পরের ব্যাটারদের সুযোগ দিতে লিটন স্বেচ্ছায় সরে যান। এরপরই জ্বলে ওঠেন টেস্ট দলে নতুন সংযোজন জাকের আলী অনিক এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

জাকের ১১০ বলে ৪৮ রান করেন, যেখানে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছক্কা। একইভাবে অঙ্কনের ৮৭ বলে ৪১ রানের ইনিংসও ছিল টেস্ট মানসিকতার পরিচয়বাহী। দুজনেই যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দেন, যদিও লিটনের মতো তারাও নিজ উদ্যোগে ক্রিজ ছেড়ে দেন।

মেহেদী হাসান মিরাজ মাত্র ১১ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। হাসান মাহমুদ কোনো রান না করেই আউট হন। তবে ইনিংসের শেষ দিকে তাইজুল ইসলামের দৃঢ়তা বাংলাদেশের রানকে সমৃদ্ধ করে। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে তার ২৩ রানের পার্টনারশিপের পর ২৫৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট ইলেভেনের হয়ে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এবং কিমানি মেলিয়াস ওপেনিংয়ে নামেন। বাংলাদেশের পেসাররা শুরু থেকেই নিজেদের মেলে ধরেন। হাসান মাহমুদ নতুন বলে দারুণ সুইং পেয়ে ব্র্যাথওয়েটকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। অন্যদিকে, নাহিদ রানা তার গতির ঝলক দেখিয়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের পরীক্ষা নেন।

প্রথম দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট ইলেভেনের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৫ রান। বাংলাদেশের পেসারদের আগ্রাসন পরের দিনও চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা।

টেস্টের প্রস্তুতিতে মিশ্র পারফরম্যান্স পেলেও টপ অর্ডারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকল বাংলাদেশের জন্য।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে