ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

অবশেষে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ১৩ ০০:২১:৫৬
অবশেষে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত

অবশেষে দীর্ঘদিনের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর। ঢাকার সাভারে যে লাশটি ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে দাফন করা হয়েছিল, সেটিই হারিছ চৌধুরীর বলে ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সাভার থানার ওসি মো: জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ৬ নভেম্বর আদালতে ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় এবং পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া গেছে, দাফন করা লাশটি আসলে হারিছ চৌধুরীর।

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আইনিভাবে কোনো কাগজপত্র পাননি। আগামীকাল বুধবার তার আইনজীবী উচ্চ আদালতের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সাথে আলোচনা করে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন বলে তিনি জানান।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন হারিছ চৌধুরী। ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর তিনি আড়ালে চলে যান এবং নাম পাল্টে হয়ে যান প্রফেসর মাহমুদুর রহমান। ২০২১ সালে মারা গেলে সেই নামেই তাকে সাভারে সমাহিত করা হয়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হারিছ চৌধুরীর মেয়ের হাইকোর্টে করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। গত ১৬ অক্টোবর তার লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। পরবর্তীতে, প্রাপ্ত ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে নিশ্চিত করা হয় যে লাশটি হারিছ চৌধুরীরই।

সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া জানান, তিন দিন আগেই তারা ডিএনএ রিপোর্টটি আদালতে জমা দিয়েছেন এবং রিপোর্টটি পজিটিভ এসেছে। সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা কবরস্থান থেকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়।

হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার যথাক্রমে তিন ও সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ইন্টারপোল তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছিল।

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু রহস্যের সমাধানে তার পরিবারের সাথে সারা দেশও অবগত হলো।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে