ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পাঁচ বছরের মুনতাহা হ*ত্যার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ১১ ১৬:২৫:৪৫
পাঁচ বছরের মুনতাহা হ*ত্যার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সিলেটের কানাইঘাটে পাঁচ বছরের শিশু মুনতাহা আক্তারের হত্যাকাণ্ড ঘিরে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটিত হচ্ছে। ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়ার পর শিশুটির লাশ উদ্ধার হয় রবিবার ভোররাতে, যা সবার মনে গভীর দুঃখ এবং বিষ্ময় সৃষ্টি করেছে।

মুনতাহার পরিবারের অভিযোগ, তাদের প্রতিবেশী শামীমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। কিছু দিন আগে মুনতাহাকে পড়ানো শুরু করলেও মুনতাহার পরিবারের সদস্যরা এতে আপত্তি জানান। পরে মুনতাহার পরিবারের কয়েকটি জামাকাপড় শামীমার বাড়িতে পাওয়া গেলে শামীমাকে চুরির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। এই অপমানই তাকে প্রতিশোধে প্ররোচিত করেছিল বলে পুলিশ ধারণা করছে।

কী বলছে পুলিশ?

মুনতাহার নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা শামীম আহমদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে শামীমা বেগমসহ তার মা আলিফজান বেগম, প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন এবং নাজমা বেগমকে আটক করে। কানাইঘাটের সহকারী পুলিশ সুপার অলক কান্তি শর্মা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শামীমা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা আংশিকভাবে স্বীকার করেছেন। তবে ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া তার জবানবন্দি এই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পরিবারের দুঃখ ও শোক

নিহত মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ জানিয়েছেন, শামীমাকে তাদের পরিবারে আগেও সহযোগিতা করেছেন এবং তাকে চাঁদা তুলে ঘর তৈরি করতেও সাহায্য করেছেন। কিন্তু সেই নারীর প্রতিশোধ স্পৃহা তার নিষ্পাপ কন্যার জীবন কেড়ে নেবে, তা তিনি কোনোভাবেই কল্পনা করতে পারেননি। তিনি বলেন, "আমার মেয়ের হত্যার জন্য আমি দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।"

মুনতাহা হত্যার সামাজিক দিক

এই ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তিগত বিবাদ নয় বরং সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চরম উদাসীনতার পরিচয় দেয়। সমাজে এমন ক্ষুদ্র ঘটনাও যে একটি শিশুর প্রাণ কেড়ে নিতে পারে, সেটি ভাবনার উদ্রেক করছে। তদন্তে বেরিয়ে আসা তথ্য অনুযায়ী, শামীমার প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাবই এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের মূল প্ররোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অবশেষে কী হবে?

পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালিয়ে দায়ীদের বিচার প্রক্রিয়ায় আনা হবে। মুনতাহার জীবন কেড়ে নেওয়া এই নির্মম ঘটনা শুধু পরিবার নয় বরং সমাজের সকলের জন্যই শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করছে প্রশাসন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে