ঢাকা, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

পতনের আগে শেখ হাসিনার সাথে দুই কারণে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ১১ ১২:০০:১৭
পতনের আগে শেখ হাসিনার সাথে দুই কারণে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়

ক্ষমতা ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে। অন্তত দুটি ইস্যুতে তাদের মধ্যে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ ও শ্রম আইন সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। এই মতবিরোধই তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়িয়ে তোলে এবং শেষমেশ সম্পর্কের বিনষ্টিতে রূপ নেয়।

প্রথা অনুযায়ী, বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরলে প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু চীন ও ভারত সফর থেকে ফিরে শেখ হাসিনা এই রীতিটি অনুসরণ করেননি। এর ফলে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দুরত্ব আরও বেড়ে যায়।

বিচারক নিয়োগের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে প্রেসিডেন্টকে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়, যেখানে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই বিচারক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ১৮ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন এক চিঠিতে স্পষ্ট করেন যে, বিচারক নিয়োগের সিদ্ধান্তের আগে তার সঙ্গে আলোচনা করার প্রচলিত নিয়ম উপেক্ষা করা হয়েছে। সারসংক্ষেপ বহনকারী ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য চাপ দিতে থাকেন।

এতে বিরক্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট পাল্টা একটি চিঠি পাঠান সই না করেই। এতে তিনি বলেন, যেভাবে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে তাতে প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘আমি কিছুই জানি না, অথচ আমাকেই চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে হবে। প্রচলিত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্টকেই পুতুল বানানো হয়েছে। শুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম কেন? দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া উপেক্ষা করার কী অর্থ আছে’।

আইনমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করারও প্রয়োজন মনে করেননি। সবমিলিয়ে প্রেসিডেন্ট ব্যথিত হন-এটাও উল্লেখ ছিল চিঠিতে। এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর দপ্তরে।

ওদিকে প্রচলিত শ্রম আইন নিয়েও ভিন্নমত দেখা দেয়। আলোচনা না করে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। এতে প্রেসিডেন্ট মনঃক্ষুণ্ন হন। এতে করেই বঙ্গভবন ও গণভবনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। সম্ভবত এসব কারণেই হাসিনা ৫ আগস্ট ক্ষমতা ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনেও কোনো যোগাযোগ করেননি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে