ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

খেলার মোড় ঘোরালেন নাসুম আর ম্যাচে ম্যাচ সেরা হলেন অন্য যে ক্রিকেটার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ১০ ০০:২০:৪২
খেলার মোড় ঘোরালেন নাসুম আর ম্যাচে ম্যাচ সেরা হলেন অন্য যে ক্রিকেটার

শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য লড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ গাজানফারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে না পারায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ছিল বাঁচা-মরার ম্যাচ। এই সমীকরণের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। শান্তর ৭৬ রানের কার্যকর ইনিংস এবং শেষদিকে নাসুম আহমেদ ও অভিষিক্ত জাকের আলী অনিকের ক্যামিওতে বাংলাদেশ তুলতে সক্ষম হয় ২৫৩ রান। লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে হেরে গিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। এই জয়ের মাধ্যমে শারজাহতে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো জয় পেল বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তানজিদ গাজানফারের বল লং অন দিয়ে ছক্কা মেরে ইতিবাচক শুরু করেছিলেন, কিন্তু পরের বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাত্র ২২ রান করে। এরপর শান্ত ও সৌম্যর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৫৯ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এই জুটি ৫০ ছাড়িয়ে গেলেও রশিদের স্কিড করা ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ৩৫ রানে আউট হন সৌম্য। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছিল, কিন্তু রিভিউ না নেওয়ায় আউটই থেকে যান তিনি।

এরপর শান্তর সঙ্গে মিরাজ ৫৩ রানের কার্যকর জুটি গড়েন। মিরাজ ২২ রান করে রশিদের গুগলিতে বোল্ড হন। তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ দ্রুত আউট হয়ে গেলে চাপ এসে পড়ে শান্তর কাঁধে। তবে শান্ত সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান নাসুম আহমেদ ও জাকের আলীকে। নাসুমের ২৪ বলে ২৫ এবং জাকেরের টানা ছক্কায় ২৫৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

২৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আফগানিস্তান শুরুতেই বিপর্যস্ত হয়। তাসকিন আহমেদের বলে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ২ রানে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে প্রথম আঘাত হানে বাংলাদেশ। সেদিকউল্লাহ ও রহমত মিলে প্রাথমিক ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন, তবে নাসুম আহমেদ ও মিরাজের সমন্বিত ফিল্ডিংয়ে সেদিকউল্লাহ ৩৯ রানে ক্যাচ দেন। রহমত শাহ কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তার সঙ্গীরা উইকেট বিলিয়ে দিতে থাকেন।

হাশমতউল্লাহ শহীদির ১৭ রানে মুস্তাফিজের বলে ক্যাচ, ওমরজাইয়ের পরপর দু'বার গোল্ডেন ডাক, এবং রহমতকে রান আউটে কাটা যাওয়ায় আফগানদের বিপর্যয় গভীর হয়। ৭৬ বলে ৫২ রানে রহমত রান আউট হয়ে ফিরলে কার্যত ভেঙে যায় আফগান ইনিংস। শেষদিকে গুলবাদিন নাইব ও মোহাম্মদ নবির জুটিতে আফগানিস্তানের কিছুটা সম্ভাবনা থাকলেও শরিফুল ও মিরাজ তাদের সাজঘরে পাঠান। রশিদ খান ১৪ রান করলেও মুস্তাফিজের স্লোয়ারে বোকা বনে ফেরেন।

নাসুম আহমেদ ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন। মুস্তাফিজুর রহমান ও মিরাজ নেন ২টি করে উইকেট, যা আফগান ব্যাটিং লাইনআপের জন্য ছিল ভয়াবহ। এদিন বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়েও ছিল সতর্ক এবং সঠিক সিদ্ধান্তে অপরিহার্য আউটগুলো করতে সক্ষম হয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

বাংলাদেশ- ২৫২/৭ (৫০ ওভার) (সৌম্য ৩৫, তানজিদ ২২, শান্ত ৭৬, মিরাজ ২২, নাসুম ২৫, জাকের ৩৭*)

আফগানিস্তান- ১৮৪/১০ (৪৩ ওভার) (সেদিকউল্লাহ ৩৯, গুরবাজ ২, রহমত ৫২, হাশমতউল্লাহ ১৭, গুলবাদিন ২৬, নবি ১৭; নাসুম ৩/২৮)

ম্যাচ সেরা: আজকের ম্যাচে ৭৬ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে