ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

MD. Razib Ali

Senior Reporter

ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স মুল্যায়ন না করেই দল ঘোষণা করছে বিসিবির নির্বাচকরা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ০২ ২৩:০১:৪১
ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স মুল্যায়ন না করেই দল ঘোষণা করছে বিসিবির নির্বাচকরা

২০২৩ সালের এশিয়া কাপে আকস্মিকভাবে ডাক পাওয়া এনামুল হক বিজয় একমাত্র ম্যাচটি খেলেন ভারতের বিপক্ষে, যেখানে তিনি ৪ রান করতে সক্ষম হন। তবে এরপর তাকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আর রাখা হয়নি। বিজয় এবং সৌম্য সরকারের জন্য ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরে আসার সুযোগ আসে নিউজিল্যান্ড সিরিজে। সেই সিরিজে বিজয়ের পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে দেখা যায়:

- প্রথম ম্যাচে ৪৩ রান করেন, ১১০.২৫ স্ট্রাইক রেটে,

- দ্বিতীয় ম্যাচে করেন মাত্র ২ রান,

- তৃতীয় ম্যাচে, যেখানে বাংলাদেশকে ৯৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে হয়, বিজয় ৩৭ রান করেন ১১২ স্ট্রাইক রেটে।

বাংলাদেশের ওপেনিং সমস্যা বিবেচনায় নেওয়া হলে এই সিরিজে বিজয়ের পারফরম্যান্স খুব একটা হতাশাজনক ছিল না। তা সত্ত্বেও তাকে এমনভাবে দলের বাইরে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। পরবর্তীতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র এক ম্যাচে সুযোগ পান, যেখানে বিজয় করেন ১২ রান।

২০২৪ সালের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) বিজয় ছিলেন চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তিনি ১৩ ইনিংসে ৭০.৩৭ গড় ও ৫৬৩ রান করেন। একই তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা জাকির হাসান ১১ ইনিংসে ৫৪.৯০ গড়ে ৫৪৯ রান সংগ্রহ করেন। পরিসংখ্যানগত দিক থেকে বলা যায়, বিজয়কে বাদ দেওয়ার যুক্তি থাকলেও জাকিরকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকেই যায়।

তথ্য অনুযায়ী, ডিপিএলে বিজয়ের চেয়ে জাকিরের পারফরম্যান্স খুব বেশি আলাদা ছিল না। এমনকি বিজয়ের চেয়ে বেশি রান করা দুই ওপেনার ইমন ও অঙ্কনকেও দলে রাখা হয়নি। তাহলে বিজয় বাদ পড়লেও কীভাবে জাকির সুযোগ পেলেন?

এদিকে, এনসিএলের পারফরম্যান্সের কথা উঠলেও জাকির হাসানের সাম্প্রতিক টেস্ট পারফরম্যান্সও আশানুরূপ ছিল না; শেষ আট ইনিংসে তিনি বড় ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে গেছেন। এনসিএলে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো হলেও তা একদিনের ফরম্যাটে প্রত্যাশিতভাবে প্রতিফলিত হয়নি। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ড সিরিজে বিজয়ের পারফরম্যান্সকে পুরোপুরি ফ্লপ বলা যায় না।

এখন প্রশ্ন হলো, জাতীয় দলের নির্বাচন প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর এবং ধারাবাহিক। নিয়মিত পারফরমারদের দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ ও বিকাশের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বিজয়ের ক্ষেত্রে টানা তিনটি সিরিজে সুযোগ দিয়ে তার ফর্ম এবং সক্ষমতার পর্যালোচনা করা যেত। অথচ তিনি মাত্র চারটি ম্যাচেই বাদ পড়ে গেছেন, যেখানে জাকির হাসান অপেক্ষাকৃত কম ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেও দলে জায়গা পেয়েছেন।

এমন পরিস্থিতি জাতীয় দলের কয়েকজন খেলোয়াড়কেও বেকায়দায় ফেলেছে। তারা ইনডিরেক্টলি স্কোয়াড ঘোষণার প্রতি আপত্তি জানিয়েছে, যা জাতীয় দলে অস্বস্তির ইঙ্গিত দেয়। এই ধরণের পরিস্থিতি আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজে প্রভাব ফেলতে পারে এবং তারই পরিণাম হতে পারে ফলাফল।

এতকিছুর পরও বোর্ডের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। যে প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা বা পরিসংখ্যান যথাযথভাবে বিবেচিত না হয়, তা দীর্ঘমেয়াদে দলের জন্য ফলপ্রসূ না-ও হতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে