ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শীতকালীন বিয়ের ৭টি সুবিধা যা আপনার জানা উচিত

লাইফস্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ০২ ১১:৫১:৫০
শীতকালীন বিয়ের ৭টি সুবিধা যা আপনার জানা উচিত

শীতকাল বিয়ের জন্য খুবই উপযুক্ত সময় বলে ধরা হয়। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালেই বেশি বিয়ে হয়, কারণ এই সময়ে কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক শীতকালে বিয়ের ৭টি বিশেষ সুবিধা—

১. লম্বা ছুটি পাওয়ার সুবিধা: শীতকালীন ছুটিতে স্কুল, কলেজের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় এবং ডিসেম্বরে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ফলে শিশু-কিশোরদের নিয়ে পরিবারের সবাই মিলে অনুষ্ঠান বা ভ্রমণে অংশ নেওয়া সম্ভব হয়। এই সময়ে আত্মীয়স্বজনদের একত্রিত করাও সহজ হয়ে যায়। বছরের অন্য সময়ে কাজ বা ক্লাসের ব্যস্ততার কারণে সবাইকে একসাথে পাওয়া যায় না। তাই অনেকেই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শীতে বিয়ের আয়োজন করেন।

২. সাজগোজে স্বস্তি পাওয়া: বিয়েতে বর-কনে দুজনেরই বিশেষ সাজসজ্জার প্রয়োজন হয়, তবে কনের সাজ নিয়ে সবচেয়ে বেশি যত্ন নেওয়া হয়। গরমকালে মেকআপ লাগানোর পর ঘামের কারণে সাজ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা শীতকালে হয় না। ঠান্ডা আবহাওয়ায় মেকআপ ও সাজ দীর্ঘস্থায়ী থাকে। শুধু কনেই নয়, বর এবং অন্যান্য অতিথিরাও আরাম করে সাজগোজ করতে পারে। এই সুবিধার জন্য শীতকাল বিয়ের আয়োজনের জন্য অনেক আরামদায়ক সময়।

৩. ডেকোরেশনে ফুলের সহজলভ্যতা: বিয়েতে ফুলের ডেকোরেশন প্রায় অপরিহার্য। শীতকালে বিভিন্ন রকম ফুল পাওয়া যায় এবং দামও কম থাকে। ফলে বিয়ের সাজসজ্জা আরও জমকালো ও রঙিন করা যায়। ডালিম, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, অর্কিড প্রভৃতি ফুলের সরবরাহ বেশি থাকে এবং এগুলোর দামও তুলনামূলকভাবে কম হয়। এই ফুলগুলো দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলকে আরও সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর করা যায়।

৪. কাজের পরিশ্রমে স্বস্তি: বিয়ের আয়োজনের জন্য অনেক কাজ করতে হয়, যেমন অতিথি আপ্যায়ন, খাবার-দাবারের ব্যবস্থা, প্যান্ডেল সাজানো ইত্যাদি। গরমকালে একটু কাজ করলেই শরীর ঘেমে যায় এবং ক্লান্তি বেড়ে যায়। শীতকালে তেমন ক্লান্তি আসে না, বরং সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে অংশ নিতে পারেন। ঠান্ডা আবহাওয়ায় কাজের মাঝে ক্লান্তি কম হয় এবং শরীরেও আরাম লাগে।

৫. খাবার খাওয়ার সুবিধা: বিয়ের খাওয়ায় পোলাও, বিরিয়ানি, রোস্ট, রেজালা, মাংসের চপ, বেগুনি ইত্যাদি থাকে। গরমকালে এই ধরনের ভারী খাবার খেলে শরীরের সমস্যা হতে পারে এবং খাবার তাড়াতাড়ি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। শীতকালে এই সমস্যাগুলো থাকে না। খাবার সংরক্ষণেও কোনো সমস্যা হয় না, ফলে সবাই পেট ভরে খাবার উপভোগ করতে পারে। শীতকালের মজার পিঠা-পুলি খাওয়ার আনন্দও থাকে, যা অতিথিদের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়।

৬. বিদ্যুৎ বিলের সাশ্রয়: শীতকালে বিয়ের অনুষ্ঠান করলে বিদ্যুৎ বিলও তুলনামূলক কম আসে। কারণ, এই সময়ে ফ্যান বা এসির প্রয়োজন হয় না। অতিথিরাও সাধারণত রাতের খাবার খাওয়ার পর দ্রুত ঘুমাতে চলে যান, ফলে আলো-টিভি তাড়াতাড়ি বন্ধ করা যায়। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়, যা মাসিক খরচ কমাতে সাহায্য করে।

৭. হানিমুনের জন্য আদর্শ সময়: শীতকাল ঘোরাঘুরির জন্য উপযুক্ত সময় এবং নবদম্পতির জন্যও শীতে ছুটি কাটানো বেশ আরামদায়ক। এই সময়টায় বিভিন্ন রিসর্ট ও হোটেলে দম্পতিদের জন্য কাপল প্যাকেজ পাওয়া যায়, যা নবদম্পতিদের জন্য বাড়তি সুবিধা দেয়। শীতের মধ্যে একসাথে সময় কাটানোর উষ্ণতা, ঘোরাঘুরি ও একে অন্যকে জানার সুযোগ সৃষ্টি করে।

সব মিলিয়ে, শীতকাল বিয়ের জন্য সব দিক থেকে একটি উপযুক্ত মৌসুম। আবহাওয়ার স্বস্তি, সাজসজ্জা, ডেকোরেশন, খাওয়া-দাওয়ার সুবিধা এবং অতিথি আপ্যায়নের সহজলভ্যতা- সব কিছু মিলিয়ে শীতে বিয়ে করা সবচেয়ে উপযোগী এবং আরামদায়ক। তাই প্রতি বছরই শীতে বিয়ের আয়োজন বেশি হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে