ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে ও টেস্ট ফরমেটের জন্য নতুন দুই অধিনায়কের নাম ঘোষণা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ অক্টোবর ২৬ ১৪:৩৩:১২
টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে ও টেস্ট ফরমেটের জন্য নতুন দুই অধিনায়কের নাম ঘোষণা

নাজমুল হোসেন শান্ত অধিনায়ক হিসেবে মাঠে ফিল্ডিং সাজানো, বোলিং পরিবর্তন এবং ড্রেসিং রুমের পরিস্থিতি সামলানোতে ভালোই দক্ষতা দেখিয়েছেন। কিন্তু পাশাপাশি নিজের ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেননি, যেটা নিয়ে বড় সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক কয়েকটি সিরিজে তার ব্যাট থেকে আসেনি তেমন উল্লেখযোগ্য রান, যা অধিনায়কত্বের উপরও প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন অনেকে।

এ কারণেই শান্ত সাউথ আফ্রিকা সিরিজের পর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। বিসিবির কাছে সিদ্ধান্তের কথা জানালেও বোর্ডের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, তবে শান্ত তাতে রাজি হননি। তবে এখন পর্যন্ত শান্তর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি দেশের ক্রিকেট বোর্ড।

ওমরাহ পালন করে সভাপতি ফারুক আহমেদ দেশে এলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে। বিসিবির এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে ক্রিকবাজকে বলেন, ‘হ্যাঁ, সে আমাদের জানিয়েছে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ শেষে সে আর দলকে নেতৃত্ব দিতে চায় না।’ একই প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘দেখা যাক কী হয়। কারণ আমি এখনও সভাপতির কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি।’

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তৎকালীন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডের অনুরোধে তিনি অধিনায়কত্ব চালিয়ে যান। এখন শোনা যাচ্ছে, সাউথ আফ্রিকা সিরিজ শেষে শান্ত অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে ওয়ানডে ও টেস্ট ফরম্যাটে অধিনায়ক হতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে তাওহীদ হৃদয়কে বিবেচনা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাকিব আল হাসানের জায়গায় শান্তকে স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত তার নেতৃত্বে ৯টি টেস্টে বাংলাদেশ অংশ নিয়ে তিনটিতে জয় পেয়েছে, যার মধ্যে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উল্লেখযোগ্য জয় রয়েছে। বাংলাদেশকে কমপক্ষে পাঁচ টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়কদের মধ্যে জয়ের শতাংশের দিক থেকে শান্ত শীর্ষে রয়েছেন। যদিও ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে অধিনায়ক ও ব্যাটার শান্তর পারফরম্যান্সে কিছুটা পার্থক্য স্পষ্ট।

অধিনায়ক হওয়ার আগে ২৩ টেস্টে ২৯.৮৩ গড়ে ১ হাজার ২৮৩ রান করেছেন। ৪ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে তিনটা হাফ সেঞ্চুরিও। অধিনায়ক হিসেবে ৯ টেস্টে ২৫.৭৬ গড়ে শান্তর রান ৪৩৮। সমান একটা করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। দুই সময়ের মাঝে তুলনা করলে দেখা যায় অধিনায়ক হিসেবে বাঁহাতি ব্যাটারের গড় কম। বড় ইনিংস খেলার দিক বিবেচনায় নিলে প্রতি ৫.৭৫ টেস্টে একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন। যেখানে অধিনায়ক শান্ত ৯ টেস্টে করেছেন এক সেঞ্চুরি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে