ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: ভারত ছেড়ে যে দেশে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ অক্টোবর ০৭ ২১:০০:৫৪
ব্রেকিং নিউজ: ভারত ছেড়ে যে দেশে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনার হঠাৎ দেশত্যাগ এবং ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন এবং ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি দিল্লির একটি নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন। তবে, তার ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে কিছুদিন আগেই, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।

গত কয়েকদিন ধরে গুজব ছড়াচ্ছে যে শেখ হাসিনা আর ভারতে নেই। যদিও এই বিষয়ে ভারত সরকার বা দিল্লি থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে, শোনা যাচ্ছে তিনি ভারত ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। তার অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও অজানা, এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু প্রকাশিত হয়নি।

আরব আমিরাতের আজমান শহরে শেখ হাসিনার আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। সম্প্রতি সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে দেখা গেছে, যিনি পাঁচ আগস্টের পর ছদ্মবেশে দেশত্যাগ করেন বলে খবর শোনা গিয়েছিল। এই তথ্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে শেখ হাসিনা শামীম ওসমানের আজমানের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামল শেষ হওয়ার পর, মাত্র ৪৫ মিনিটের নোটিশে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে এতদিন ভারতে থাকলেও, তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় ভারতে তার থাকা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আসা খবর থেকে জানা যায়, আরব আমিরাতের আজমানে শামীম ওসমানের নিজের একটি বাড়ি আছে। সম্প্রতি তাকে সেখানেই দেখা গেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তিনি এ বিষয়ে সহযোগিতা করছেন বলে জানায় সূত্রগুলো। ওসমান পরিবারের সঙ্গে হাসিনার সখ্যতা রয়েছে।

এর আগে ‘খেলা হবে’ খ্যাত শামীম ওসমানকে দিল্লিতে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ায় দেখা যায়। সেই ছবিও গণমাধ্যমে আসে। এর কিছুদিন পর দুবাইয়ের একটি শপিংমলে দেখা মেলে শামীম ওসমানের। সেখানে থেকে ধারণা পাওয়া যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতেই অবস্থান করছেন শামীম ওসমান।

এর আগে, একাধিক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন। তবে এনিয়ে ওয়াশিংটন বা দিল্লি প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেনি।

শেখ হাসিনা আসলেই আমিরাতে অবস্থান করছেন কিনা, সেটি নিয়ে সংশয় জানিয়েছে কিছু সূত্র। কারণ, এর আগে আমিরাতে হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে দেশটি রাজি হয়নি। ব্রিটেন, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশোর মতো আরব আমিরাতও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে মানা করে দেয়।

কোন প্রেক্ষাপটে এবং কি শর্তে শেষমেশ আমিরাত শেখ হাসিনাকে আশ্রয়ের অনুমতি দিয়েছে সে সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। আরব আমিরাতের আজমাইনে শেখ হাসিনা ঠিক কতদিন অবস্থান করবেন এবং তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় সে বিষয়েও কোন তথ্য জানা যায়নি।

৭ অক্টোবর ‌‘জাতীয় আগ্রাসন বিরোধী দিবস’ পালনের আহ্বান ৭ অক্টোবর ‌‘জাতীয় আগ্রাসন বিরোধী দিবস’ পালনের আহ্বানপ্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে ভারতের মোদী সরকারকে দেশের ভেতরে-বাইরে যথেষ্ট চাপের মুখে পরতে হয়েছে। এই নিয়ে মোদী সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়।

উল্লেখ্য, গেল ৫ আগষ্ট বাংলাদেশে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান। দেশটিতে শুধু তিনি নন, রয়েছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ও শেখ হাসিনা সরকারের সময়কার অনেক কর্মকর্তাও।

জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর গত ১৫ বছরের শাসনামলের দুর্নীতি, অনিয়ম, দুঃশাসন আর অসংখ্য বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যাকান্ডের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে বিচারের দাবীতে এখনো ছাত্র-জনতা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার সোচ্চার ও সক্রিয় রয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে