ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

নিউইয়র্কের টাইমেই কপাল পুড়ল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৫:১০:৫৫
নিউইয়র্কের টাইমেই কপাল পুড়ল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

টাইম ম্যাগাজিনের কভারে আসাটা সারা বিশ্বের অনেক নেতার জন্যই সম্মানের বিষয়। এই ম্যাগাজিনটি পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী সাময়িকীগুলোর একটি, যেখানে স্থান পাওয়া মানে বিশ্বের নজরে আসা। তবে, এর সঙ্গে একটি রহস্যময় তত্ত্বও জড়িয়ে আছে—টাইম ম্যাগাজিনের কভারে স্থান পাওয়ার পর অনেক নেতার জন্য শুরু হয় রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত বিপর্যয়।

এ ধরনের তত্ত্বের পক্ষে বেশ কিছু নজিরও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৮২ সালে স্টিভ জবস টাইম ম্যাগাজিনের কভারে আসেন, কিন্তু মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তাকে অ্যাপল থেকে বের করে দেওয়া হয়। একইভাবে, ২০১০ সালে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ কভারে আসার পর থেকেই ফেসবুক নানা ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।

রাজনীতির ক্ষেত্রেও এ ধরনের নজির আছে। টাইমের কভারে উঠে আসা অনেক বিশ্বনেতার পরিণতি ছিল বেদনাদায়ক। উদাহরণস্বরূপ, বেনজির ভুট্টো, আনোয়ার সাদাত, ইন্দিরা গান্ধী, এবং মুয়াম্মার গাদ্দাফি—এদের সবাই টাইমের কভারে আসার পর তাদের রাজনৈতিক জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব দেখা গেছে। ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া টাইম ম্যাগাজিনের কভারে এসেছিলেন, এরপর তার রাজনৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং আর কখনোই তিনি ক্ষমতায় ফিরতে পারেননি।

২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাইম ম্যাগাজিনের কভারে আসেন, যেখানে তার নেতৃত্বের কঠোরতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। কিছু লোক এই ঘটনাকে টাইম ম্যাগাজিনের তথাকথিত "অভিশাপ" এর সঙ্গে তুলনা করছেন এবং প্রশ্ন তুলছেন, তবে কি শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও এই কভার ফিচার তার রাজনৈতিক পতনের শুরু ছিল?

যদিও এই ধরনের তত্ত্ব বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়, ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা অনেককেই এই বিশ্বাসে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে যে, টাইম ম্যাগাজিনের কভারে আসাটা নেতাদের জন্য সৌভাগ্যের পরিবর্তে এক ধরনের অশুভ সংকেত হতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে