হ*ত্যা মামলা ও শেয়ার বাজার কারসাজি নিয়ে অবিশ্বাস্য তথ্য দিলেন সাকিব

সাকিব আল হাসান হঠাৎ করেই টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। বিশেষ করে, আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পর টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছেন তিনি। তবে দেশে ফেরার ব্যাপারে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে, কারণ তার বিরুদ্ধে থাকা একটি হত্যা মামলার কারণে গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ বদলে গেছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন, যার মধ্যে সাকিবও একটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত। এই কারণে, দেশে ফিরলে তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

সাকিব তার বক্তব্যে এই শঙ্কার কথা তুলে ধরে বলেছেন, তিনি দেশে ফিরে টেস্ট সিরিজ শেষে নিরাপদে বিদায় নিতে চান। দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচ খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তার কণ্ঠে ছিল অনিশ্চয়তা ও অনুনয়, যেন তিনি নিরাপদে এই বিদায় নিতে পারেন।

আজ কানপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি তো এভেইলএবল। দেশে যা পরিস্থিতি আসলে সব তো আমার উপর না। এগুলা নিয়ে বিসিবির সাথে আলোচনা হয়েছে আমার কী প্ল্যান বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে। এই টেস্ট এবং হোম সিরিজ।

আমি ফিল করেছিলাম যে আমার শেষ সিরিজ হবে হোমে গিয়ে যদি খেলতে পারি সেভাবেই কথা হয়েছিল ফারুক ভাই এবং নির্বাচকদের সাথে। মিরপুর টেস্ট হবে আমার শেষ টেস্ট। বোর্ডের সবার সাথে কথা হয়েছে।’

নিরাপত্তার বিষয়ে সাকিব বলেছেন, ‘তারাও এটা চেষ্টা করছে কীভাবে আমি গিয়ে খেলতেও পারি নিরাপদ ফিল করি এবং একইসাথে দেশের বাইরে বের হতে দরকার হলে দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোনো সমস্যা না হয়। এই জিনিসটা বোর্ড খেয়াল করছে এবং বিষয়গুলার সাথে রিলেটেড মানুষ আছে যারা এগুলো দেখছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে কোনো কথা বলেননি সাকিব। এতে করে তার ব্যাপক সমালোচনা হয় সামাজিক মাধ্যমে। আন্দোলনের সময়ের মতো নিশ্চুপ ছিলেন নিজের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলা নিয়েও। এতদিন মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। অবশেষে সেই নীরবতা ভেঙেছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।

নিজের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘কঠিন অনেক কঠিন। আমি কীভাবে ধরে রাখছি এটা আল্লাহই জানে আসলে আমি নিজেও জানি না। যেটা বললেন একটা কেইস হয়েছে। সবারই অধিকার আছে। আপনারা সবাই জানেন এটা কেমন ধরনের কেইস হয়েছে বা তখন আমি কোথায় ছিলাম বা আমার কাজ কী ছিল। এই বিষয়টা নিয়ে আসলে খুব বেশি কথা বলতে চাই না। আরেকটা জিনিস যেটা সদ্য হয়েছে আমার জীবনে আমি আসলে কখনও নিজে থেকে ট্রেড করিনি। কেউ যদি বলে যদি এই ট্রেড নিয়ে কথাও বলেছি আমাকে প্রমাণ দিলে আমি খুশি হব। এগুলো আসলে যে কেউ যেকোনো কিছু করতেই পারে। তবে যদি একটু সুন্দর করে করত তাহলে মনে হয় ভালো হত। আমার জন্য মেন্টালি একটু ভালো হত। মিথ্যা অভিযোগগুলা আমার মনে হয় না এটা আমাদের দেশের জন্য ভালো হবে। বিশেষ করে বাইরের দেশের মানুষ যখন আমাদের নিয়ে কথা বলবে জিনিসগুলা খুব একটা ভালো হবে। আমি যখন জীবনে কোনো ট্রেডই করিনি নিজ থেকে যেই শব্দগুলাও ব্যবহার করেছে এটা আমার জন্য দুঃখজনক।’

গুগল নিউজে ফলো করুন