ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিনেমা না বাস্তব: ভ*য়ংকর ডা*কাতদের সঙ্গে লড়াই না করে বুদ্ধিমত্তায় প্রাণ বাঁ*চালেন অক্ষয়

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ সেপ্টেম্বর ২৫ ১১:৩৪:৩১
সিনেমা না বাস্তব: ভ*য়ংকর ডা*কাতদের সঙ্গে লড়াই না করে বুদ্ধিমত্তায় প্রাণ বাঁ*চালেন অক্ষয়

বলিউডের সুপারস্টার অক্ষয় কুমার একবার ভয়ংকর ডাকাতদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, যা তার জীবনের অন্যতম স্নায়ুক্ষয়ী অভিজ্ঞতা। তিনি নিজেই এক টক শোতে এই ঘটনাটি শেয়ার করেছেন। ঘটনাটি ঘটে যখন অক্ষয় এক ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন এবং হঠাৎ দুর্ধর্ষ চম্বল ডাকাতদের একটি দল ট্রেনে আক্রমণ করে।

অক্ষয় জানান, ডাকাতদের হাতে পড়ার পর তিনি বুদ্ধিমত্তা দেখিয়ে নিজের জীবন বাঁচান। তিনি তৎক্ষণাৎ ঘুমের ভান করে পড়ে থাকেন, যাতে ডাকাতরা তাকে কোনোভাবে আঘাত না করে। ডাকাতরা তার সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেলেও অক্ষয় তার প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছিলেন। যদিও ডাকাতদের হাতে মূল্যবান সবকিছু হারাতে হয়, তবুও বুদ্ধিমানের মতো আচরণ করায় তিনি বড় ধরনের বিপদ এড়াতে সক্ষম হন।

অক্ষয় কুমার এ ঘটনাটি শেয়ার করেন অনুপম খেরের জনপ্রিয় চ্যাট শো ‘কুছ ভি হো সকতা হ্যায়’-এ। তিনি বলেন, এটি কোনো সিনেমার দৃশ্য ছিল না বরং বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। এই ঘটনাটি তাকে আরও শক্তিশালী এবং অভিজ্ঞ করে তুলেছিল।

অক্ষয়ের বর্তমান কাজের প্রসঙ্গেও বলা যায়, তার সাম্প্রতিক কিছু সিনেমা বক্স অফিসে খুব ভালো ফল না করলেও আসন্ন ছবি ‘সিংহম এগেইন’-এ তার উপস্থিতি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক প্রত্যাশা রয়েছে। এছাড়াও, তার ক্যামিও-সহ 'স্ত্রী' সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলছে।

অক্ষয় কুমার ওই চ্যাট শোতে বলেছিলেন, তিনি একবার ট্রেনে করে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ- ই জানতে পারেন যে ডাকাতরা ট্রেনে উঠে পড়েছে।

অভিনেতা বলেন, সময়টা তখন ভোর সাড়ে ৪টা হবে। আমার সঙ্গে থাকা সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা ছিল এবং চম্বল আসার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাতরা ট্রেনে উঠে পড়ে। তারা আমার বগির ভিতরে ঢুকে আসে। তখন আমি অবশ্য ঘুমাচ্ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ বীভৎস একটা আওয়াজ। চোখ খুলেই দেখি ডাকাত দাঁড়িয়ে। আমি সবাইকে বলি, এখন কিছু বলবেন না, চুপচাপ ঘুমান। দেখলাম ওরা সবার লাগেজ তুলে নিচ্ছে। আস্তে আস্তে ওরা আমার কাছে এসেই এক মুহূর্তে আমার ব্যাগটা তুলে নেয়। আমি কোনো আওয়াজ করলে ওরা আমাকে তখনই গুলি করে মেরে ফেলত।

অক্ষয় বলেন, আমি শুধু দেখেছি আর কেঁদেছি। তারপর ওরা সব জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। এমনকি আমার চটিটাও ছাড়েনি। সিটের নিচে রাখা লোকজনের চটিও কেড়ে নেয় ওরা। বুঝতে পারি, ওরা কিছুই রেখে যায়নি। যখন দিল্লি স্টেশনে নামি, তখন আমার হাতে কোনো ব্যাগ ছিল না।

অক্ষয় কুমারের তিনটি ছবি ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’, ‘সারফিরা’ এবং ‘খেল খেল মে’ বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাকে দেখা যাবে প্রিয়দর্শনের ‘ভূত বাংলা’ এবং রোহিত শেঠির ‘সিংহম এগেইন’-এ।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে