ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৬,৪,৬,৪,৬ সাইফউদ্দিনের ব্যাটে চার ছক্কার, বল হাতে দেখালেন চমক

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ সেপ্টেম্বর ২৩ ১১:৫৯:৫৩
৬,৪,৬,৪,৬ সাইফউদ্দিনের ব্যাটে চার ছক্কার, বল হাতে দেখালেন চমক

বাংলাদেশের একমাত্র পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছেন। ইনজুরিতে পড়ে জাতীয় দলের বাইরে যাওয়ার পর গত বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। নানা নাঠকীয়তার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েন এই অলরাউন্ডার।

তার আস্থা রাখতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। এরপর আর মাঠের ক্রিকেটে দেখা যায়নি এই অলরাউন্ডারকে। তবে বর্তমানে মাইনর লিগ ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাইফউদ্দিন। এই টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বল করে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। দলকে জিতিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।

আটলান্টায় এদিন আটলান্টা ফায়ারের প্রতিপক্ষ ছিল ফোর্ট লডারডেল লায়ন্স। ২০ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রানের পাহাড় জড়ো করে আটলান্টা। দলের পক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান স্টিভেন টেলর। মাত্র ৬১ বলের মোকাবেলায় ১১২ রান করেন, হাঁকান ৯টি করে চার-ছক্কা।

এছাড়া ৩২ বলে ৬৬ রান করেন রাজদীপ দরবার। ফিনিশিংয়ের কাজটা দারুণভাবে করেন সাইফউদ্দিন। ১৮ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে ২টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান পাওয়ার হিটিংয়ের স্কিল দেখিয়ে।

শেষপর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান দাঁড়ায় আটলান্টার সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ক্যারিবীয় গ্রেট শিবনারায়ণ চন্দরপলের ছেলে ত্যাগনারায়ণ চন্দরপলকে হারায় লডারডেল। নিজের প্রথম বলেই তাঁকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন।

এরপর থেকেই সাইফউদ্দিনকে দেখেশুনে খেলতে থাকে দলটি। ইসাইয়াহ রাজাহ, ডিনো চুইনাম, কেভিন স্টুটের ব্যাটে দল সামাল দেয় বিপর্যয়। তবে তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষদিকে সাইফউদ্দিন শিকার করেন ক্লিন্টন পেস্টানোর উইকেটও। ৪ ওভার বল করে জোড়া উইকেট শিকারের দিনে খরচ করেন মাত্র ১১ রান, তাও ছিল একটি মেডেন ওভার।

লডারডেলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে কেভিন স্টুটের ব্যাট থেকে। ৪০ বল মোকাবেলায় ২টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া তিনটি ছক্কা ও তিনটি চার হাঁকিয়ে ৩৩ বল মোকাবেলা করলেও চুইনামের ব্যাট থেকে আসে সাকুল্যে ৩৫ রান।

ত্যাগনারায়ণকে গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ দেওয়ার দিনে সাইফউদ্দিন ছিলেন দলের সবচেয়ে ইকোনোমিক্যাল বোলার। ওভার প্রতি ৩ রানেরও কম খরচ করেন তিনি। তার মতোই দুটি করে উইকেট পান কোর্ন ড্রাই ও জিয়া মোহাম্মদ শেহজাদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান পর্যন্ত যেতে পারলে ৭৪ রানের লজাজ্জনক পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লডারডেল।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে