সাকিবের ফাইফার, শেষ হলো সারের ম্যাচ, দেখেনিন ফলাফল

আর্চি ভন ও জ্যাক লিচের স্পিনের দাপটে, সোমারসেট ডিভিশন ওয়ানের শীর্ষে থাকা সারে'র বিরুদ্ধে এক রোমাঞ্চকর ১১১ রানের জয় পায়, যা তাদের প্রথম ভিটালিটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয়ের আশা পুনর্জীবিত করে। ২২১ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে গিয়ে সারে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায়, ম্যাচ শেষ হতে মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল।

১৮ বছর বয়সী ভন শেষ ইনিংসে ৫-৩৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচে মোট ১১-১৪০ উইকেট সংগ্রহ করেন, আর লিচ ৫-৩৭ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ডম সিবলি (৫৬) ও বেন ফোকস (২০) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, তাদের ২৯ ওভারে ৪৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি ম্যাচ ড্রয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু শেষ সাতটি উইকেট ১৪ রানে পতিত হয়।

দিনের শুরুতে, সোমারসেট তাদের ১৯৪ রানে ৫ উইকেট থেকে ইনিংসকে বাড়িয়ে ২২৪ রানে নিয়ে যায়। আহত টম ব্যান্টনের ৪৬ রানের ইনিংস এবং ক্রেগ ওভারটনের অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংস তাদের ৭১ রানের অসাধারণ জুটি গড়ে তোলে, যা দলকে জয়ের আশায় রাখে। সোমারসেট ম্যাচ থেকে ২১ পয়েন্ট পায়, আর সারে মাত্র ৫ পয়েন্ট পায়, ফলে সারে'র শীর্ষস্থানীয় ব্যবধান ৮ পয়েন্টে কমে আসে, বাকি দুই ম্যাচের জন্য শিরোপার লড়াই জমে ওঠে।

সকালে ব্যান্টন, যিনি গুরুতরভাবে পায়ে চোট পেয়েছেন, রানার নিয়ে ব্যাট করতে আসেন। তিনি মাত্র দুই বল খেলেন, এরপর বৃষ্টি আসায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ১১:০৫ এ খেলা পুনরায় শুরু হলে ব্যান্টন ও ওভারটন ৬১ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। ব্যান্টনের সবচেয়ে স্মরণীয় শট ছিল শাকিব আল হাসানের বলকে রিভার্স সুইপ করে চার মেরে দেওয়া, যদিও তিনি পা নাড়াতে পারছিলেন না। অবশেষে শাকিবের বলে বোল্ড হয়ে তিনি ৬৫ বলে ৪৬ রানে আউট হন, আর ওভারটন অপরাজিত থাকেন ৪৯ রানে।

সারের ওপেনার ররি বার্নস ও সিবলি দক্ষতার সাথে দুপুরের আগে ১৩ ওভার খেলেন। আরেকটি বৃষ্টির কারণে খেলা বিলম্বিত হওয়ার পর, বল ঘুরতে শুরু করে। ভন ২২তম ওভারে প্রথমে বার্নসকে ১৫ রানে ক্যাচ আউট করান, তারপর তিন বলের মধ্যে রায়ান প্যাটেলকে বোল্ড করে ফেরান। লিচ দ্রুত সারের ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলেন এবং বেন গেডসকে এলবিডব্লিউ করে দলকে চাপের মধ্যে ফেলেন, যেখানে স্কোর দাঁড়ায় ৪৬ রানে ৩ উইকেটে।

সিবলি ও ফোকস এরপর প্রতিরোধমূলক ব্যাটিং করেন এবং সোমারসেটের স্পিনারদের ধারাবাহিক আক্রমণ প্রতিহত করেন। ৩৮তম ওভারে সারের স্কোর ৫০ ছুঁয়েছিল, কিন্তু বৃষ্টি আসায় খেলা বন্ধ হয় এবং চা-বিরতি ঘোষণা করা হয়। বিকেলে খেলা পুনরায় শুরু হলে, লিচ ও ভন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং ফোকস শেষ পর্যন্ত লিচের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ আউট হন।

এই উইকেটের পতনের সাথে সাথে সারের ইনিংসে ধস নামতে শুরু করে। সিবলি ৫০ রান করার পর একইভাবে আউট হন। ভনের হাতে শাকিব এবং টম কারান ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান, এবং ভন তার পাঁচ উইকেটের কোটাও পূর্ণ করেন। জর্ডান ক্লার্ক ৪৭ বলে কোনো রান না করেই বোল্ড হন। শেষ ব্যাটসম্যান ড্যান ওয়ারল এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যান, যার ফলে লিচ ও ভনের যৌথ স্পিন আক্রমণে সারে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় এবং সোমারসেট জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে।

এই জয়ে শীর্ষে থাকা সারের সঙ্গে ব্যবধান আট পয়েন্টে নেমে আসে, এবং বাকি দুই ম্যাচে শিরোপার লড়াই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সোমারসেট ৩১৭ (ব্যান্টন ১৩২, ভন ৪৪, সাকিব ৪-৯৭) এবং ২২৪ (ওভারটন ৪৯*, ব্যান্টন ৪৬, সাকিব ৫-৯৬) সারে ৩২১ (কারান ৮৬, প্যাটেল ৭০, ভন ৬-১০২) এবং ১০৯ (লিচ ৫-৩৭, ভন ৫-৩৮) কে ১১১ রানে পরাজিত করে।