ঢাকা, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১

সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি, লিটনের সেঞ্চুরি, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ সেপ্টেম্বর ০১ ১৭:১০:৩৩
সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি, লিটনের সেঞ্চুরি, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর

মিরাজ না পারলেও লিটন ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তিন অঙ্কে পৌঁছাতে দরকার ছিল ১ রান। লিটন দাস সেটা করলেন আবরার আহমেদকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে।

লিটনের ৪৪ টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। এবারের আগে টেস্টে সর্বশেষ তিন অঙ্কের ইনিংস খেলেছিলেন ২০২২ সালের মে মাসে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে।

লিটনের সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ২১৭। ২৭ বলে ২ রান করে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন হাসান মাহমুদ। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের রানে পৌঁছাতে বাংলাদেশের দরকার আরও ৫৭ রান।

এদিনও সেঞ্চুরি পেলেন না মিরাজ। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭৭ রান। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফিরলেন ৭৮ রান করে। গুড লেংথের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে বোলার খুররাম শেহজাদের হাতে ক্যাচ তুলেছেন মিরাজ।

টেস্টে এটি খুররমের প্রথম ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে এসে এই কীর্তির দেখা পেলেন খুররম। বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১৯১।

ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের মতো বলের গতি। খুররমের শেহজাদের বাউন্সার পিক করতে লিটনের কোনো সমস্যাই হলো না। পুল করে পাঠিয়ে দিলেন স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে। বাংলাদেশ ও লিটনের ইনিংসে এটি প্রথম ছক্কা। বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৬৯।

মিরাজ ছন্দে আছেন। সেটা বোঝা গেছে তাঁর ইনিংসের প্রথম বল থেকেই। বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের পর উইকেটে এসে ব্যাটিং করেছেন ওয়ানডে মেজাজে। এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং কৌশল বদলেছেন। ফিফটি পেয়েছেন ৮১ বলে। টেস্টে এটি মিরাজের অষ্টম ফিফটি। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩৫।

প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফিফটি করেছিলেন। খেলেছিলেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ফিফটি পেলেন। টেস্টে এটি লিটনের ১৮তম ফিফটি। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর যেভাবে দলকে টেনেছেন, গুরত্বের বিচারে নিঃসন্দেহে এটি তাঁর অন্যতম সেরা।

লিটন- মিরাজ যেন অন্য উইকেটে ব্যাটিং করছেন। লাঞ্চের পর থেকেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করছেন দুজন। শেষ দুই ওভারে বাউন্ডারি মেরেছেন ৬টি। দুজনেই আছেন ফিফটির কাছাকাছি। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৫।

বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বশেষ আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ১০ বলে ২ রান করে সাকিব আউট হয়েছেন খুররমের বলে। খুররম নিয়েছেন ৪ উইকেট, মীর হামজা নিয়েছেন ২ উইকেট।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে জাকিরকে দিয়ে শুরু। এরপর সাদমান ফেরেন অষ্টম ওভারে। একই ওভারে নাজমুলকে ফিরিয়েছেন খুররম শেহজাদ। খুররমের জোড়া আঘাতের পর নবম ওভারের প্রথম বলে মুমিনুলকে মোহাম্মদ আলীর ক্যাচ বানান মীর হামজা। সব মিলিয়ে ১৪ বলের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফলো অনের শঙ্কা জেগেছে বাংলাদেশের। এই মুহূর্তে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪ রান বাংলাদেশের।

দিনের তৃতীয় ওভারে একপ্রকার ‘জীবন’ই পেয়েছেন জাকির হাসান। কিন্তু পরের ওভারে আর ‘জীবন’ পেলেন না তিনি। দিনের চতুর্থ ওভারে খুররম শেহজাদের বলে স্কয়ার লেগে আবরার আহমেদের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি ব্যক্তিগত ১ রান করে।

ইনিংসের প্রথম বলেই ‘জীবন’ পেয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। মীর হামজার বলে স্লিপে ক্যাচ ফেলেছিলেন সৌদ শাকিল। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না বাংলাদেশের ওপেনার। ২৩ বলে ১০ রান করে খুররম শেহজাদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। ২ উইকেটে ২০ রান করেছে বাংলাদেশ।

রেকর্ড গুলো এখানে:

দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দেশের বাইরে এক টেস্টে ৫ উইকেট ও ফিফটি পেয়েছেন মিরাজ। প্রত্যাশিতভাবেই প্রথম এই কীর্তি করেছেন সাকিব আল হাসান। দুটোই ওয়েস্ট ইন্ডিজর মাটিতে, তাদের বিপক্ষেই। একটি ২০০৯ সালে অন্যটি ২০১৮ সালে। সব মিলিয়ে সাকিব এই কীর্তি গড়েছেন আটবার। মিরাজ করেছেন দুইবার।

রেকর্ডটি হয়েছে সিরিজের প্রথম টেস্টে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৯৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান।

দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৬৫ রানের জুটি গড়েছেন মিরাজ ও লিটন। যা টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

৮ নম্বর কিংবা এর পরে নেমে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ফিফটি:

৭—মেহেদী হাসান মিরাজ

৬—মাহমুদউল্লাহ

৫—মোহাম্মদ রফিক

৩—মাশরাফি বিন মুর্তজা

৩—মুশফিকুর রহিম

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে