বিসিবিতে পদত্যাগের হিড়িক, পাপনের সাথে পদত্যাগ করছেন আরও যারা

দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের সভাপতি পদে কাজ করছেন নাজমুল হাসান পাপন। ২০১২ সালে বিসিবির দায়িত্ব নেন তিনি। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতে তাকে ছাড়তে হচ্ছে সভাপতির পদ।
টানা একমাস ধরে বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যাপক চাপের মাঝে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পান শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস। দেশের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রম সব পরিচালিত হচ্ছে এই সরকারের অধীনেই। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ফলে বিসিবিতেও বাজছে পরিবর্তনের সুর। বিসিবির সামনে বিক্ষোভ, আন্দোলন নিয়ে জড়ো হচ্ছেন অনেকেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নির্বাচক জানিয়েছেন, নাজমুল হাসান পাপন বিসিবি সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত। বোর্ডের প্রভাবশালী পরিচালকদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
গত (১৫ আগস্ট) বিসিবি পরিচালক জাতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, পাপন ভাই সহযোগিতা করতে চান। তিনি সরে যেতে চান। এই বিষয়ে আমার সাথে সরাসরি কোন কথোপকথন ছিল না. কিন্তু তিনি চলে যেতে চান। বিসিবির সিনিয়র ম্যানেজারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বললেন। তবে জানা গেছে শুধু পাপন নয় পদত্যাগ করতে পারেন একাধিক বোর্ড পরিচালক। বিশেষ করে যারা আন্তগোপনে আছেন। তারা পদত্যাগ না করলেও টানা তিনটি বোর্ড মিটিং মিস করলো এমনিতেই তাদের পদ হারাতে হবে।
এদিকে পাপনের বিদায়ে রাজি হওয়ায় স্বস্তি বোধ করছে দেশের ক্রীড়া বিশ্ব। কিন্তু এখন যদি পাপন আলোচনা থেকে সরে আসেন তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব কে নেবেন? এ নিয়ে অনেকেই কথা বললেও যে নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে তিনি হলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ।
তার খেলার ক্যারিয়ারের পর, ফারুক আহমেদ ২০০৩-২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবালের মতো কয়েকজন তরুণের মধ্যে প্রচুর সম্ভাবনা দেখেন এবং তাদের জাতীয় দলে জায়গা দেন। তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিলে দলের ভরসা হয়ে ওঠেন তামিম-মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ-সাকিবরা।
এরপর ২০১৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান। কিন্তু বিসিবির দ্বি-স্তরীয় নির্বাচক কমিটি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে ২০১৬ সালে পদত্যাগ করেন তিনি। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট মাঠের ইতিহাসও বটে।
২০১৫ বিশ্বকাপে তার সাফল্যের পর, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘরের মাটিতে পাকিস্তান, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই এলোমেলো হয়ে পড়ে বোর্ড। কাজ ব্যাহত হতে থাকে। সিস্টেমে একটি গলদ দেখা দেয়। বোর্ড কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ শুরু হয়। ২০১৬ সালে পদ ছাড়ার পর একাধিকবার এসব অনিয়মের কথা জানিয়েছিলেন স্পষ্টভাষী ফারুক আহমেদ।
এদিকে পাপন বিসিবির দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ৩০ বছর সময় দিয়েছি। আমি যদি সুযোগ পাই, তবেই আসব যদি মনে হয় সেখানে কাজের পরিবেশ আছে। তবে শুধু খেলোয়াড় নির্বাচনের জন্য আসার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আমি কাজ করলে বড় পরিসরে কাজ করতে পারব। তবেই আবার ক্রিকেটে যোগ দিতে পারব।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আবারও বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- একাধিক গণমাধ্যমে দাবি ‘নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনার মৃত্যুর’ জানা গেল খবরের সত্যতা
- ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যু, জানা গেল সত্যতা
- চরম দু:সংবাদ: ভিসা বন্ধ ঘোষণা
- পিলখানার হত্যাকাণ্ড কোনো সেনাসদস্য ঘটায়নি সরাসরি যাকে দুষলেন সেনাপ্রধান
- আফগানিস্তান ইংল্যান্ডকে হারানোর পেছনের নায়ক বাংলাদেশের বুলবুল
- নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর সারজিস আলমের ঘোষণা
- নাহিদের পদত্যাগে নতুন বিতর্ক, ভারতীয় সাংবাদিকের পোস্টে তোলপাড়
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- বাংলাদেশের একটি শক্তির কারণে যুদ্ধে জড়াবে না ভারত
- নাহিদ ইসলামের জায়গাতে নতুন উপদেষ্টা হচ্ছেন যিনি
- আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আত্মপ্রকাশ করছে ৩টি বড় রাজনৈতিক জোট
- কঠিন সমীকরণ: শেষ ম্যাচ না জিতেও সেমি ফাইনাল খেলবে আফগানিস্তান
- মাসের শুরুতেই কমলো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- নতুন উপদেষ্টা হলেন মাহফুজ আলম