ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

পদ শূন্য বিসিবি, হদিস নেই পাপনের

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ আগস্ট ০৮ ১৫:১২:৫৭
পদ শূন্য বিসিবি, হদিস নেই পাপনের

গত সোমবার পদত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই বিপদে আছেন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। আর বিপদে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিসহ বেশ কয়েক জন বোর্ড পরিচালক। কেননা তারা সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য।

তাইতো তাদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন তবে কি নেতৃত্বশূণ্যতায় কী হবে দেশের ক্রিকেটের? প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের পর তারা সবাই এখন গা ঢাকা দিয়েছেন।

বিসিবির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশই ছিল আওয়ামী লীগের। বোর্ডপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন ছিলেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রী। এর বাইরে পরিচালকদের মধ্যে শফিউর রহমান নাদেল ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য। নাইমুর রহমান দুর্জয় ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য। আ জ ম নাসির উদ্দীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। তাদের কারো কোনো হদিস নাই।

আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর বাসায় আগুন দেওয়া হয়েছে। সাবেক দুই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগের সংসদ হওয়ায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের দলীয় কার্যালয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মাশরাফির বাড়ি। আগুন দেওয়া হয়েছে পাপনের নির্বাচনি এলাকায় তার ভৈরবের বাড়িতেও। যদিও নাজমুল হাসান পাপন সেই সময় ভৈরবে ছিলেন না। বোর্ডে থাকা আওয়ামী লীগের বাকি নেতারাও গা ঢাকা দিয়েছেন।

জনমনে প্রশ্ন— কোথায় আছেন পাপন? এই প্রশ্নের অবশ্য পরিষ্কার কোনো উত্তর নেই। বিসিবির কেউ কেউ বলছেন— পাপন দেশ ছেড়েছেন। আবার কারও কারও দাবি— তিনি দেশেই আছেন। তবে নিরাপত্তার জন্য আপাতত গা ঢাকা দিয়েছেন পাপন। বিসিবিতে আবারও তিনি আসবেন কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরও নেই তাদের কাছে। তাদের মতে, বিসিবিপ্রধান ধরে নিয়েছেন তার সময় শেষ।

তবে সমস্যা হলো চাইলেও আপাতত জোর করে সরানো যাচ্ছে না পাপনকে। কেননা বিসিবিতে পাপনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে। তার আগে জোরপূর্বক তাকে সরিয়ে দেওয়া কোনো সুযোগ নেই। আর সেটি হলে আইসিসির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওপর। কেননা বোর্ডের ওপর সরকার বা অন্য কোনো শক্তির হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে