ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

কোটা আন্দোলন নিয়ে ক্রিকেটাররা যে যা বললেন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জুলাই ১৮ ১০:১০:২৬
কোটা আন্দোলন নিয়ে ক্রিকেটাররা যে যা বললেন

সারা দেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে চেয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত পুরো বাংলাদেশ। চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। এই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে এই বিষয়টা সারা দেশে তৈরি হয়েছে অনেক বিশৃঙ্খলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রতাক্ত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে মারপিট। যা নিয়ে সারা দেশে চলছে ব্যাপক আলোচন সমালোচনা।

শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের দাবি করছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও বলছেন, কোটা পুরোপুরি বাতিল না করে সময়ের বিবেচনায় সংস্কার করা উচিত। ছাত্রছাত্রীদের বাবা মা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন পড়ার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে যদি বাবা মার স্বপ্ন লাশ হয়ে বাসায় ফিরে এইটা কারো কাম্য নয়। এইটা নিয়ে সারা দেশে তুমুল আলোচনা হলেও ক্রিকেটাররা চুপ ছিল।

তবে দেশের অনেক বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার এই নিয়ে কথা বলেছেন। তাওহীদ হৃদয়, শরিফুল লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে ব্যস্ত আছেন। তারপরও তারা দেশের এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছেন।

শরিফুল ফেসবুক পোস্টে বলেন, সবকিছু থেকে দূরে আছি, তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি…. আমার প্রাণের ঢাকা ইউনিভার্সিটি, আর রক্তাক্ত না হোক।

তাওহীদ হৃদয় বলেন, আসসালামু আলাইকুম, আমি একজন ক্রিকেটার হলেও আমি একজন ছাত্র। আমি চাই না আর কোনো ছাত্রছাত্রীর রক্ত ঝরুক।

বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের সুপার ম্যান বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন Bangladeshi student,s Super man.

তবে বাংলাদেশ দলের কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিলেন এর ব্যতিক্রম। যার একজন তামিম ইকবাল। কোটা ইস্যুতে কোনো মন্তব্য বা পোস্ট না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রিকেট ভক্তরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।

অবশেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বুধবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ এক পোস্টে তামিম লিখেন, ‌‘আপনারা জানেন, বড় ভাইয়ের অসুস্থতায় আমার পরিবারের একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। আমিও দেশের বাইরেই আছি। তবে দেশে যা হচ্ছে, তা জেনে মনটা আরও অস্থির হয়ে উঠেছে।’

তামিম আরও লিখেন, ‘কোনো র'ক্ত'পা'ত, কোনো মৃ'ত্যুই কাম্য নয়। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই কোনো সং'ঘা'ত নয়, আলোচনায় সমাধান হোক। এই অস্থিরতা দ্রুত কেটে যাক। দেশ ও দেশের মানুষ ভালো থাকুক।’

ফেসবুক পোষ্টে মাহমুদউল্লাহ লিখেন, আসসালামু আলাইকুম। বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কোনো ভাবেই কাম্য নয় কারণ প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর জীবন অমূল্য। ব্যক্তিগতভাবে আমি এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান আশা করছি। আল্লাহ সবাইকে নিরাপদ রাখুন। আমীন।

এক পোস্টে সৌম্য সরকার লিখেছেন, ‘কোনো সংঘাত না, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক সব সমস্যার। প্রার্থনা করি আর কোনো মা যেন সন্তান না হারায়। শান্তি ফিরে আসুক সবার জীবনে।’

রক্তপাত ও সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি যৌক্তিক সমাধান চেয়েছেন লিটন দাস, ‘কোথাও কোন রক্তপাত, কোনো মৃত্যুই কেউ চায় না। দেশের তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই আর কোনো ভাইবোনদের ওপর সহিংসতা দেখতে চাই না। চলমান সংকটের যৌক্তিকভাবে সমাধান হোক। দেশটা আমাদের সবার।’

এর আগে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। যদিও তার সেই স্পষ্ট পোস্ট দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ছিল বলে ধারণা করছিলেন অনেকে। এবার তিনি স্পষ্ট করে লিখলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে চাই না সংঘাত, আর যেন না হয় রক্তপাত। কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়, যেকোনো উপায়েই এই রক্তপাত বন্ধ হোক। আসুক শান্তি। আমরা সবাই মিলে আমাদের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে