ঢাকা, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: এক বছর পর জাতীয় দলে ডাক পেলেন তারকা ক্রিকেটার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জুলাই ১২ ২০:৪০:০০
ব্রেকিং নিউজ: এক বছর পর জাতীয় দলে ডাক পেলেন তারকা ক্রিকেটার

গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ নারী দলের শ্রীলঙ্কা সফরে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন টাইগ্রেস পেসার জাহানারা আলম। এরপর ফিটনেস ও ফিল্ডিং–সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে একই বছরের জুলাইয়ে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশ দল থেকে ছিটকে যান এ টাইগ্রেস পেসার। এরপর মাঝে দীর্ঘ ১ বছর কেটে গেলেও ডাক পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে আসন্ন এশিয়া কাপে আবারও দেশের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন জাহানারা। সবশেষ নারী ডিপিএলে হন আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। যা তাকে শ্রীলঙ্কার মাটিতে হতে যাওয়া এশিয়া কাপ দলে সুযোগ পাইয়ে দেয়।

দীর্ঘ এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরে প্রথমবারের মতো জানিয়েছেন নিজের অনুভূতি। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিসিবির প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় জাহানারা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ এক বছর পর আবার জাতীয় দলে ব্যাক করেছি। আল্লাহর অশেষ রহমত শুকুর আলহামদুলিল্লাহ। শুকরিয়া জানাই আল্লাহর প্রতি৷ এই দীর্ঘ এক বছরের মধ্যে আমি ৯ মাস ট্রেনিং করেছি মাস্কো একাডেমিতে। সালাউদ্দিন স্যারসহ ওখানে যারা কোচিং স্টাফ ছিলেন তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমার সঙ্গে।

আবাও বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে খুশি জাহানারা। তিনি বলেন, চেষ্টা করেছি যেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। প্রতিটি সময় আমি নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি, যেন নারী দলে যখনই আমার প্রয়োজন হবে প্রস্তুত থাকতে পারি। শেষ প্রিমিয়ার লিগেও একটি দারুণ পারফরম্যান্স হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ৷ দীর্ঘ নয় মাসের পরিশ্রম বলতে পারেন। সবকিছু মিলিয়ে এটা দারুণ অনুভূতি যে আমি আবারও বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব।

আসন্ন এশিয়া কাপে দল এবং নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে জাহানারা বলেন, এশিয়া কাপে দলের প্রথম লক্ষ্যই থাকবে ভালোভাবে সেমিফাইনাল খেলা। আমরা যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল খেলতে পারি তাহলে হয়তো পাকিস্তানের সঙ্গে সেমিফাইনালে ফেস হতে পারে। এদিক থেকে আমাদের জন্য একটু ইজি হতে পারে এবং অবশ্যই আমরা সেটাই চেষ্টা করব। পজিটিভ রেজাল্ট, আমরা যদি বাংলাদেশ দলের জন্য নিয়ে আসতে পারি এটা আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের সুখস্মৃতিতে ব্যাক করার জন্য যেটা ২০১৮ সালে করেছিলাম৷ আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য থাকবে প্রত্যেকটা ম্যাচে আমি যেন কন্ট্রিবিউট করতে পারি দলের জয়ে।

৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার নিজেকে ‘ফিটনেস-ফ্রিক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, আমি সব সময়ই ফিটনেস-ফ্রিক। ৯ বছর বয়স থেকেই খেলাধুলা করি, সেটা হ্যান্ডবল, ভলিবল সবাই জানেন এসব। আন্তঃস্কুল, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ থেকেই শুরু। ২০০৭ সালে যখন ক্রিকেট শুরু করি, তখন থেকে চেষ্টা করেছি যেন ফিটনেস ভালো থাকে। ফিটনেসের উন্নতি বোলিংয়ের গতি বাড়াতেও সাহায্য করেছে উল্লেখ করে জাহানারা আরও বলেন, আমি একজন পেস বোলার। ২০০৭ সাল থেকে চেষ্টা করেছি একই গতি ধরে রাখতে। গতি বেড়েছে আমার, কমেনি। ফিটেনস ও শক্তি আমাকে সাহায্য করেছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে