ব্রেকিং নিউজ: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ফিরছেন তামিম

বিসিবির কার্যালয়ের বড় বড় সব গাড়িগুলো বলে দেয় কার্যালয়ে ব্যস্ততা বাড়ছেG বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জরুরী সভা আগামী দুই জুলাই। তার আগে থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কার্যালয়ে অবস্থান। কি সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে নাকি আগের সবকিছু একইরকম থাকবে সেটা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। বিশ্বকাপ নিয়ে পুরো দেশবাসীর মতোই হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

অন্তত অপারেশন চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এর বক্তব্য সেটাই বলছে। সেই হতাশা থেকে সামগ্রিকভাবে আগামী দিনগুলোর জন্য কি মানচিত্র রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখন সেটাই আলোচিত বিষয়। মূলত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কে সামনে রেখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। সেই জায়গাটাতে তামিম ইকবাল খান এর ফেরার ব্যাপারটাও বড় একটা ইস্যু হতে পারে সাম্প্রতিক সময়ে।

ব্যর্থতা নাকি বিশ্বকাপটা বাংলাদেশ ভালোই খেলেছে এখন বলতে গেলে সেই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই বিশ্বকাপের বাংলাদেশের পারফরম্যান্স সেই অ্যাসেসমেন্ট একটি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সেটা নিয়ে একটা ফয়সালা হবে আগামী বোর্ড সভায়। আর এই বোর্ডসভা টা হতে যাচ্ছে দুই তারিখে। ৪৮ ঘন্টা পর বসবে বিসিবি বোর্ড কর্তারা। কী সিদ্ধান্ত আসছে সেটাই এখন আসল আলোচনার বিষয়।

ক্যাপ্টেন তাদের পরিবর্তন নিয়ে কি কোন সিদ্ধান্ত আসতে চলেছে। আপাতত ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। সেখানে যে কথা গুলো বলেছেন তিনি। তাতে করে মনে হয়েছে ক্যাপ্টেন বদল এর মতো কোনো সিদ্ধান্তে ক্রিকেট বোর্ড হয়তোবা যাবেনা। হাথুরুসিংহের চুক্তি অনুসারে তিনি এখনো ছয় মাস বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করার কথা । সেই হিসাব অনুসারে জানুয়ারি মাসে তার চুক্তি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলবে পাকিস্তানে। বোর্ড হয়তবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত হাথুরুসিংহ কে রাখতে চাই। তবে দুই তারিখের বোর্ড মিটিং এর পরে বদলে যেতে পারে অনেক কিছুই। পরিবর্তন থেকে শুরু করে অনেক নতুন নতুন সিদ্ধান্ত আসলেই অবাক হওয়ার মতো কোনো কিছু থাকবে না। সেই প্রশ্ন এখন সবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। নিশ্চয়ই শিরোনামের ওই কথাটার মতোই অনেকেই চিন্তা করছেন তামিম ইকবাল খানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তিনি কি আবার ফিরতে চলেছেন।

তার সম্ভাবনা আছে কি না এটা নিয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে। তার ফিটনেস নিয়ে অনেক কথা হয়। তিনি এখন কোন ফিটনেস এর কোনো অবস্থায় রয়েছেন। জাতীয় দলে খেলার জন্য ঠিক যে ধরনের পরিস্থিতি দরকার সেটা সঙ্গে খাপ খাইয়ে দেওয়ার মতো ফিটনেস কি এখন তার আছে কিনা এটা নিয়েও আলোচনা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার সবকিছুতেই। যেহেতু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৫০ ওভারের ক্রিকেট। সে জায়গাটাতে ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবালকে খেলানো যাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

কোন ধরনের কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা সেটা নিয়েও যেমন আলোচনা আছে। তবে ক্রিকেট বোর্ড আসলে এক্ষেত্রে কি ভাবছে। তামিম ইকবাল কী ভাবছে সেটাও একটা বিষয়। একমাত্র তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সেটা বাইরে আসেনি এখনো।

এর আগে আমরা দেখেছি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সঙ্গে তামিম ইকবাল খানের আলোচনা করতে। কিন্তু সেই বিষয়টা মিডিয়াতে কেউ জানায়নি কি আলোচনা হয়েছে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চলাকালে তারা কথা বলেছিলেন। তবে দিনশেষে সেটা জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।

কোন পক্ষে কখনই কোন খোলাসা করেননি। তাই অনেক ধরনের অনেক আলোচনা হতে পারে। তবে এই ব্যাপারে কোন কিছু আসলে নিশ্চিত না। দুই তারিখের বোর্ড মিটিং এর পরে আসলে সব কিছু জানা যাবে। তবে আমার কাছে যেটা ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় তামিমের একটু কঠিন। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের ৫০ ওভারের তেমন একটা সিরিজ নাই। ওয়েস্টইন্ডিজ-বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে। সাউথ আফ্রিকার একটা সিরিজ হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ দল কিন্তু ওয়ানডেতে নিজেদের প্রস্তুতি নেওয়ার মত আর কোন সিরিজ খুঁজে পাচ্ছেনা।

তাই এই সিরিজগুলোতে যদি তামিম ইকবাল খান ফিরতে পারেন। তার আগে তামিমের একটা ব্যাপার রয়েছে। দলের সঙ্গে ক্যাম্পে যোগ দেয়ার একটা ব্যাপার রয়েছে। সেই জায়গাগুলোতে যদি তিনি ফিরে আসতে পারেন বা তিনি ফিরে আসেন সে ক্ষেত্রে খেলার একটা সম্ভাবনা থাকবে। তাছাড়া সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তামিম ইকবাল খেলবেন এধরনের আসলে কোন সম্ভাবনা খুব একটা নেই বলেই চলে।

গুগল নিউজে ফলো করুন