ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি ফাইনাল ম্যাচ হেরে সরাসরি যাকে দায়ি করলেন অধিনায়ক রশিদ খান

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জুন ২৭ ০৯:০৭:১১
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি ফাইনাল ম্যাচ হেরে সরাসরি যাকে দায়ি করলেন অধিনায়ক রশিদ খান

দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির মেগা ইভেন্টে (ওডিআই ও টি-২০ বিশ্বকাপ) কখনোই ফাইনালে খেলার সুযোগ পায়নি। এজন্য তাদের মাথায় উঠেছিল ‘চোকার্স’ তকমা। কিন্তু অবশেষে অষ্টমবারের চেষ্টায় সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে ইতিহাস গড়েছে প্রোটিয়ারা, আইসিসির ইভেন্টে প্রথমবারের মতো ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে তারা।

নবম টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে আফগানিস্তান টিকতে পারেনি, অল্প রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। ফলে প্রথম ইনিংসেই দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনাল যাত্রা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ফলাফলও তাই হয়েছে।

ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১১.৫ ওভারে ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মার্করামের দল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে।

লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস উদ্বোধন করেন রেজা হেনড্রিকস ও কুইন্টন ডি কক। তবে ফজলহক ফারুকী ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ডি কককে বোল্ড করেন। ডি ককের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন দলপতি এইডেন মার্করাম। মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রেজা। রেজা ২৯ রানে এবং মার্করাম ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। আফগানিস্তানের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন ফজলহক ফারুকী।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। প্রথম ওভারেই মার্কো জানসেন আঘাত হানেন, রেজার হাতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন গুরবাজ।

এরপর আফগান ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। গুলবাদিন নাইব, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবি এবং করিম জানাতদের কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। নয়জন আফগান ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে ব্যর্থ হন। একমাত্র আজমতউল্লাহ ১০ রান করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তাবরাইজ শামসি ও মার্কো জানসেন সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া আনরিখ নরকিয়া ও কাগিসো রাবাদা দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

ম্যাচ শেষে রশিদ খান বলেন, "আমি মনে করি আমাদের জন্য রাতটি কঠিন ছিল এবং আমরা আমাদের চেয়ে ভাল করতে পারতাম। কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের তা করতে দেয়নি, তবে মানসিকভাবে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। আমি মনে করি আমরা ভালোভাবে ব্যাট করতে পারিনি। মুজিব চোট পেলে আমরা লড়াই করছিলাম, কিন্তু নবি, ফজল... এতে আমাদের স্পিন ইউনিট হিসেবে কাজটা সহজ হয়েছিল। বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা আমার জন্য আনন্দের ছিল।

আমরা যখন টুর্নামেন্টের আগে এখানে এসেছিলাম এবং কেউ যদি বলত যে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল খেলব, আমরা তা মেনে নিতাম। এই প্রতিযোগিতায় বড় বড় ম্যাচ জেতা... এবং হ্যাঁ, আমরা যেকোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি। পরবর্তী সময় যখন আমরা এমন কোনো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করব, আমাদের মধ্যে বিশ্বাস থাকবে। কঠিন দলের বিরুদ্ধে চাপের পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে পরিচালনা করতে হয় সেটাই মূল।

আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে, বিশেষ করে মধ্যক্রমে। আমাদের আরও আক্রমণাত্মক হতে হবে এবং এমন কাউকে থাকতে হবে যে ইনিংসটিকে গভীরে নিয়ে যেতে পারে। আমরা কিছু ভালো ফলাফল অর্জন করেছি, কিন্তু যখন আমরা আবার টুর্নামেন্টে ফিরে আসব, আমাদের আরও ভালো করতে হবে, বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগে।"

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে