ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

গোল করেও ফ্রান্সকে জেতাতে পারলেন না এমবাপে

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জুন ২৬ ০৯:২৯:১৭
গোল করেও ফ্রান্সকে জেতাতে পারলেন না এমবাপে

কিলিয়ান এমবাপে অনেক চেষ্টা এবং অসংখ্য সুযোগ হারানোর পর অবশেষে গোলের দেখা পান। তার দল ফ্রান্সেরও গোলখরা কাটে। তবে সেই লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় তারা। পোল্যান্ড পাল্টা পেনাল্টি পেয়ে, রবের্ত লেভানদোভস্কির গোলে ড্র করে। দিদিয়ে দেশমের দল গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বে উঠেছে। মঙ্গলবার ডর্টমুন্ডে 'ডি' গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।

একই সময়ে শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে অস্ট্রিয়া চমক উপহার দেয়। নাটকীয় লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসকে ৩-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয় তারা।

তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রিয়া। এক জয় এবং দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ফ্রান্স। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেদারল্যান্ডস, সেরা চার তৃতীয় দলের একটি হয়ে নকআউট পর্বে পৌঁছায় তারা।

ডাচদের বিপক্ষে অনেক সুযোগ নষ্ট করায় শুরুর একাদশে জায়গা হারান অঁতোয়ান গ্রিজমান। আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে না পারায় বেঞ্চে বসেন মার্কাস থুরামও। গোলের দাবি পূরণ করতে এমবাপের সঙ্গে বার্কোলাকে প্রথমে নামান ফ্রান্স কোচ।

মাস্ক পরে নামা এমবাপের উপস্থিতিতে তাদের খেলায় গতি আরও বেড়ে যায়। উনবিংশ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগও পায় তারা। এনগোলো কঁতের পাস ধরে উসমান দেম্বেলের শটটি গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন।

নকআউট পর্বে ওঠার আশা আগেই শেষ হয়ে যাওয়া পোল্যান্ডও শুরুতে বেশ আত্মবিশ্বাসী ফুটবল খেলে। সুযোগ পেলেই পাল্টা আক্রমণে উঠে আসে। ৩৪তম মিনিটে ভালো সুযোগ পান লেভানদোভস্কি; কিন্তু দারুণ পজিশনে থেকেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন তিনি।

৪২তম মিনিটে বক্সে এমবাপে দুর্দান্ত ক্ষীপ্র হয়ে উঠেন। ছোট পাস দেন বার্কোলার দিকে, তার টোকায় বল যায় গোলমুখে, চোখের পলকে সতীর্থের পাশ দিয়ে কোনাকুনি শট নেন এমবাপে; দুর্দান্ত সেভে জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক।

পরের মিনিটে আবারও রক্ষণ ভেঙে ঢুকে পড়েন এমবাপে। কঠিন কোণ থেকে শট নেন, তবে গোলরক্ষক লুকাস কর্নারের বিনিময়ে তার প্রচেষ্টা রুখে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ফ্রান্সের আক্রমণ আবারও শুরু হয়। প্রথম পাঁচ মিনিটেই গোলের জন্য তিনটি শট নেয় তারা, কিন্তু প্রতিপক্ষের দুর্ভেদ্য দেয়াল ভাঙতে পারেনি। কঁতের শট রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর এমবাপের বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান লুকাস। এরপর এমবাপের দ্বিতীয় শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

অবশেষে ৫৬তম মিনিটে ডেডলক ভাঙতে পারে ফ্রান্স। তাদের টানা আক্রমণের মুখে পোল্যান্ডের রক্ষণ ভেঙে যায়। ডিফেন্ডার ইয়াকুব কিভিওর দেম্বেলেকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সফল স্পট কিক নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপে।

চলতি আসরে ফ্রান্সের কোনো খেলোয়াড়ের এটাই প্রথম গোল। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার আত্মঘাতী গোলে জিতেছিল তারা। আর ইউরোপ সেরা এই প্রতিযোগিতায় এমবাপেও পেলেন প্রথম গোলের স্বাদ।

এগিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনেন দেশম। বার্কোলা, আদ্রিওঁ রাবিও এবং কঁতেকে তুলে নামান অলিভিয়ে জিরু, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা এবং গ্রিজমানকে।

প্রথমার্ধে ছয়টি শট নেওয়া পোল্যান্ড বিরতির পর ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ২৫ মিনিটে একবারও সেভাবে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়াতে পারেনি তারা, নিতে পারেনি কোনো শট। ৭২তম মিনিটে দূর থেকে একবার চেষ্টা করেন লেভানদোভস্কি, কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

সাত মিনিট পর ফ্রান্সের জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায়। ডি-বক্সে ফরোয়ার্ড কারোলকে ফরাসি ডিফেন্ডার দায়দ উপামেকানো ফাউল করলে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। লেভানদোভস্কির প্রথম স্পট কিক ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন মাইক মিয়াঁ, কিন্তু শট নেওয়ার আগেই গোললাইন থেকে এগিয়ে আসায় ফের শট নেওয়ার সুযোগ পান পোল্যান্ড অধিনায়ক। এবার আর ব্যর্থ হননি তিনি।

আরেক ম্যাচে এই সময় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল অস্ট্রিয়া। তাই গ্রুপ সেরা হতে ফ্রান্সের জয়ের বিকল্প ছিল না। ৮৫তম মিনিটে আবার এগিয়ে যাওয়ার নিশ্চিত সুযোগ পায় তারা। কিন্তু ভালো পজিশন থেকে অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড জিরুর শট রক্ষণে প্রতিহত হয়।

বাকি সময়েও ফল বদলাতে পারেনি ফ্রান্স, পরিবর্তন হয়নি অন্য ম্যাচের ফলও। গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় সবশেষ ২০০০ সালে ইউরোপ সেরা ট্রফি জেতা ফ্রান্সকে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে