ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পরীমণির বাসায় যাতায়াত করতেন সাকলায়েন, তদন্তে বেরিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জুন ২৫ ১৫:৫০:০৬
পরীমণির বাসায় যাতায়াত করতেন সাকলায়েন, তদন্তে বেরিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

চাকরি হারাতে বসেছেন এডিসি গোলাম সাকলায়েন, যিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন এবং রাত কাটাতেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে, দিনে ও রাতে, পরীমণির বাসায় অবস্থান করেছেন সাকলায়েন।

এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সাকলায়েন, যিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন, চাকরি হারানোর মুখোমুখি হয়েছেন। পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের সময় তিনি এই দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ঘটনার পেছনের কিছু বিষয়:

২০২১ সালের ১৩ জুন, পরীমণি উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয় গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ থেকে। এই মামলার তদন্তের সময়েই সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমণির সম্পর্কের সূত্রপাত।

পরীমণি-সাকলায়েন কাণ্ডের বিভাগীয় তদন্তে বেরিয়ে আসে, এডিসি সাকলায়েনকে প্রায়ই রাতে বিভিন্ন স্থানে পরীমণির সঙ্গে দেখা যেত। রাতে গাড়ি নিয়ে তারা বের হতেন এবং মাঝে মাঝে সাকলায়েন পরীমণির বাসায়ও যেতেন।

পরীমণি সর্বশেষ সাকলায়েনের বাসায় তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় গিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন। এরপর জনসমক্ষে আসে তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য। সিসিটিভির ফাঁস হওয়া ফুটেজে দেখা যায়, ২০২১ সালের ১ আগস্ট রাত ৮টার দিকে চিত্রনায়িকা পরীমণি গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম সাকলায়েনের বাসায় অবস্থান করছেন।

ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৮টার দিকে রাজারবাগের মধুমতি ভবনের সামনে থামে পরীমণির হ্যারিয়ার গাড়ি। সাকলায়েন নিজে নেমে এসে পরীমণিকে রিসিভ করেন এবং এরপর সাকলায়েনের বাসায় প্রবেশ করেন পরীমণির খালাতো বোন ও তার স্বামী। পরে রাত ২টার দিকে পরীমণিসহ তিনজনই বাসা থেকে বের হয়ে যান। ঘটনার বেশ কিছুদিন পর এই ফুটেজ ফাঁস হয়।

এরপর, ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করার জন্য আবেদন করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী 'অসদাচরণ' এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধি ৪ এর উপবিধি ৩(খ) বিধি মোতাবেক 'গুরুদণ্ড' হিসেবে চাকরি হতে 'বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান' দণ্ডের বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে