ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

প্রথম বারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে উঠে যা বললেন রশিদ খান

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জুন ২৫ ১১:৫৫:০৬
প্রথম বারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে উঠে যা বললেন রশিদ খান

আজ সেমিফাইনালের কঠিন সমীকরণ নিয়ে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত নির্ধারীত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৫ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বার বার বৃষ্টি বাধা দিয়েছে। এতে ওভার কমিয়ে করা ১৯ ওভার। আর এতে বাংলাদেশের টার্গেট দাড়ায় ১১৪ রান। তবে বাংলাদেশেকে সেমি ফাইনালে যেতে হলে ১২.১ ওভারে রান করতে হতে যা বাংলাদেশ পারেনি। ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। ফলে বৃষ্টি আইনে ৮ রানের জয় পায় আফগানিস্তান।

ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ডাক মারেন তানজিদ তামিম। তাকে ফেরান ফজলহক ফারুকি। ৫ বলে ৫ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরান নাভিন-উল-হক। ডাক মারেন সাকিব আল হাসান। তাকেই ফেরান নাভিন-উল-হক।

১০ বলে ১০ রান করা সৌম্য সরকারকে ফেরান রশিদ খান। ৯ বলে ১৪ রান করা তাওহীদ হৃদয়কে ফেরান রশিদ খান। রশিদের বলে ৯ বলে ৬ রান করে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রশিদ খানের বলে ডাক মারেন রিশাদ হোসেন। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রশিদ খান। ৯ বলে ২ রান করে নাভিন-উল-হকের শিকার হন তাসকিন।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুন করে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ৬৪ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েন তারা। রিশাদ হোসেনের বলে ২৯ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদরান, ভাঙে জুটি। এরপর আবারও রিশাদ হোসেনের আঘাত। এবার আরেক ওপেনার গুরবাজকে ফেরান তিনি। ৫৫ বলে ৪৩ রান করেন গুরবাজ। ১২ বলে ১০ রান করা আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান মুস্তাফিজ।

৪ বলে ৩ রান করা গুলাদিন নাইবকে ফেরান রিশাদ হোসেন। ৫ বলে ১ রান করা নাবীকে ফেরান তাসকিন। ১০ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রশিদ খান। ৬ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন করিম জানাত। শেষ পর্যন্ত নির্ধারীত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৫ রান করে আফগানিস্তান।

রশিদ খান আফগানিস্তানের অধিনায়ক: "সেমিফাইনালে পৌঁছানো আমাদের দলের জন্য একটি স্বপ্নের মতো কিছু। এটি সবই নির্ভর করে যেভাবে আমরা টুর্নামেন্ট শুরু করেছি তার ওপর। নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর বিশ্বাস এসেছিল। এই অনুভূতি বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ আমার কাছে নেই। একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমাদের সেমিফাইনালে নিয়ে এসেছেন তিনি ব্রায়ান লারা, এবং আমরা তা প্রমাণ করেছি।

আমি তাকে বলেছিলাম যে আমরা তাকে হতাশ করব না। আমরা ভেবেছিলাম এই উইকেটে ১৩০-১৩৫ ভালো স্কোর হবে। আমরা ১৫-২০ রান কম করেছি। এটি সবই মানসিকতার ব্যাপার ছিল। আমরা জানতাম তারা আমাদের উপর কঠোরভাবে আক্রমণ করবে এবং ১২ ওভারে সেই রান তোলার চেষ্টা করবে। সেখানেই আমরা সুযোগ নিতে পারি। আমাদের পরিকল্পনা স্পষ্ট রাখতে হবে।

আমরা প্রচেষ্টা করেছি, এটাই আমাদের হাতে ছিল। সবাই অসাধারণ কাজ করেছে। টি-টোয়েন্টিতে, আমাদের বেস শক্তিশালী, বিশেষ করে বোলিংয়ে। আমাদের কাছে দক্ষ ফাস্ট বোলার আছে। এই প্রতিযোগিতায় তারা ভালো শুরু এনে দিয়েছে এবং এটি আমাদের কাজকে মাঝখানে সহজ করে দেয়। বৃষ্টি কখনও থেমেছে, কখনও শুরু হয়েছে, কিন্তু মানসিকভাবে আমরা সেখানে ছিলাম।

আমাদের ১০ উইকেট নিতে হতো, এটাই ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার একমাত্র উপায়, অন্য কোনো উপায় ছিল না। গুলবদিনের কিছু ক্র্যাম্প ছিল বলে মনে হচ্ছে, আশা করি তিনি ঠিক হয়ে যাবেন। তার নেওয়া সেই উইকেট আমাদের জন্য বিশাল ছিল। দেশে বড় উৎসব হচ্ছে। সেমিফাইনালে থাকা এখন বড় ব্যাপার, আমাদের স্পষ্ট মাইন্ডে যেতে হবে। আমরা জিনিসগুলো সহজ রাখতে হবে এবং বড় উপলক্ষটা উপভোগ করতে হবে।"

ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, "আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করেছি। একটি বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা অনেক ভালো জিনিস করেছি। কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা বিশেষ করে মধ্য ওভারগুলিতে কিছু খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাধারণ পরিকল্পনা ছিল প্রথম তিন উইকেট হারালে আমরা প্রথম ছয় ওভারে আক্রমণ করব, এবং যদি শুরুর উইকেটগুলি দ্রুত হারাই তবে সাধারণ খেলা খেলব।

কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা ভালো বোলিং করেছি, বিশেষ করে নতুন ছেলে রিশাদ খুব ভালো বোলিং করেছে, আমি তার জন্য সত্যিই খুশি। ফিল্ডিং ইউনিট হিসেবে আমরা অনেক ভালো জিনিস করেছি, ভালো ক্যাচ ধরেছি। কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। সামনে আমাদের ব্যাটিং নিয়ে ভাবতে হবে। [বৃষ্টির বিলম্ব সম্পর্কে] এটি ঘটেছে কিন্তু আমরা কোনও অজুহাত দিতে পারি না। বল ভিজে যাচ্ছিল এবং ভালোভাবে আসছিল, সেটাই ছিল একটি ভালো দিক।"

বাংলাদেশ একাদশ-

তানজিদ হাসান, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ-

রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, গুলবদিন নাইব, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক), নানগায়াল খারোতি, নুর আহমেদ, নাভিন-উল-হক, ফজলহক ফারুকি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে