ঈদের আনন্দ শেষ, সিলেটের অবস্থা খুবই ভয়াবহ, পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ

সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি কয়েকটি পয়েন্টে ওঠানামা করলেও সার্বিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় জেলার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বর্তমানে সিলেট জেলায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডসহ বাকি ১৩ উপজেলায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭ জন মানুষ বন্যায় পানিবন্দি। এদের মধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৫০ হাজার, সিলেট সদরে ২৫ হাজার ৬১৫ জন, বিশ্বনাথে ৪৩ হাজার ৫৬৮ জন, ওসমানীনগরে ৭৬ হাজার, ফেঞ্চুগঞ্জে ১৬ হাজার ২১৫, দক্ষিণ সুরমায় ২৫ হাজার ৮০০, বালাগঞ্জ উপজেলায় ৬ হাজার ২৯ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৯৫ হাজার, জৈন্তাপুরে ৯০ হাজার ১৬০ জন, গোয়াইনঘাটে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ জন, কানাইঘাটে ৪১ হাজার ৩৬০ জন, জকিগঞ্জে ৪৫ হাজার ৩৬০ জন, বিয়ানীবাজারে ১৭ হাজার ৭০০ জন এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ১৯ হাজার ৫৯০ জন পানিবন্দি রয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরো জানা গেছে, জেলায় ১ হাজার ৩২৩টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় পানিবন্দি লোকদের উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে, সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বেড়ে যাওয়ায় বুধবার সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফের পানি উঠতে শুরু করেছে। এতে বিভিন্ন এলাকা পুনরায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মাত্র তিন ঘণ্টায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৬৬ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল যা বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপরে। তবে দুপুর ১২টায় এই পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টেও সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল, যা দুপুর ১২টায় ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে নেমে এসেছে। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধির পরিমাণ অব্যাহত রয়েছে এবং এই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার যথাক্রমে ৯৭ সেন্টিমিটার ও ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। গোয়াইনঘাটে সারিগোয়াইন নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনো বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।
সারাদেশ - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: সম্ভাব্য একাদশ, পরিসংখ্যান ও সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- সৌদি আরবে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা
- আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল: বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মোবাইলে খেলা দেখবেন যেভাবে
- এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের চমক
- সৌদি আরবে ঈদের জামাতের সময়সূচি ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের নতুন নিয়ম করলো বিএসইসি
- দেখা গেছে চাঁদ: সৌদি আরবে ঈদের জামাতের সময় সূচি ঘোষণা
- আমিরাতে ঈদের জামাতের সময়সূচি: এক নতুন আনন্দের সূচনা
- কিছুক্ষণ পর মাঠে নামছে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা: সরাসরি মোবাইলে খেলা দেখবেন যেভাবে
- ঈদুল ফিতরের দিনক্ষণ নিয়ে যা জানালো সৌদি আরব
- জানা গেল বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
- ২০৯ রান করেও হেরে তাসকিনকে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল লাখনৌ
- বাংলাদেশ বনাম ভারত: ম্যাচ শুরু সরাসরি মোবাইলে দেখবেন যেভাবে
- ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় দুঃসংবাদ বাংলাদেশ শিবিরে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ভারত মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচ