ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

খালেদা জিয়া কৃষকের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জুন ১৫ ১৩:৪২:১৫
খালেদা জিয়া কৃষকের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে দেশের কৃষকের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। সেই সময়ে সার না পাওয়ায় আন্দোলন করা কৃষকদের ওপর গুলি চালিয়ে ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। শনিবার সকালে গণভবনে তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বিএনপি যখন ভোটের কথা বলে, তখন আমার হাসি পায়। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশের ভোটের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছিলেন। তার সেই হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে যাত্রা শুরু, যা অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য। এরপর সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় আসার জন্য প্রহসনমূলক নির্বাচন করেছিলেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করে ভোট চুরির প্রক্রিয়া শুরু করেন।"

তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমানের পরে এরশাদও জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। কৃষক ও শ্রমিকরা সব সময় অবহেলিত ছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর, শুধুমাত্র জনগণের ভোট চুরি নয়, দেশের কৃষকের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলেছিলেন। সার পাওয়া না যাওয়ায় আন্দোলন করা কৃষকদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।"

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, "রোজার দিনে শ্রমিকরা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করলে, প্রায় ১৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করা কৃষকদেরও হত্যা করা হয়েছিল।"

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বিএনপির এসব অপকর্মের কারণে জনগণ তাদের ওপর বিতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনমূলক নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছিলেন। মাত্র ২২ শতাংশ ভোট পড়েছিল, কোনো প্রতিপক্ষ ছিল না। কিন্তু জনগণের ভোট চুরি করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না।"

আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরবর্তী সময়ের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, "এয়ারপোর্ট থেকে বাংলা একাডেমি হয়ে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল। জিয়াউর রহমান সেগুলো কেটে ফেলেন। হোটেল শেরাটনের সামনে নাগকেশর ফুলের গাছ ছিল, সেগুলোও কেটে ফেলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে বাগান বিলাশের ঝাড় ছিল, সেগুলোও ধ্বংস করা হয়।"

শেখ হাসিনা বলেন, "আওয়ামী লীগ ৮৪ সাল থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করছে। পরিবেশ রক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন তখনো বিশ্বে আসে নাই, কিন্তু আমরা তখন থেকেই গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেই। আমরা এটি শিখেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছ থেকে। তিনি রেসকোর্স ময়দানে প্রথম বৃক্ষরোপণ করেন।"

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, "আওয়ামী লীগই সম্ভবত প্রথম পরিবেশ রক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা পরিবেশ রক্ষা ও দেশের সবুজায়নে ভূমিকা রাখতে চাই।"

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে