ঢাকা, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

‘আম্মা বলতেন তোর মাশরাফি ভাই-তামিম ভাইয়ের দলে কবে খেলবি’

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ মে ২৮ ১৬:১৪:৩৯
‘আম্মা বলতেন তোর মাশরাফি ভাই-তামিম ভাইয়ের দলে কবে খেলবি’

আর মাত্র কয়েক দিন পর শুরু হবে বিশ্বকাপের এবারের আসর। আসন্ন আসরে প্রথম বারের মত খেলবে বাংলাদেশের তরুন ব্যাটার জাকের আলি অনিক। আজকে জাতীয় দলে খেলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের অনুভতি প্রকাশ করেছেন।

জাকের বলেন, ‘দল হিসেবে আমি চাইব, আমরা প্রতিটা ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করে দেখাতে এবং জিততে। নিজের দেশের জন্য বড় কিছু করার ইচ্ছা আছে। এই বিষয়টা সব সময় ভাবনায় কাজ করে। ইচ্ছা থাকবে, আগে যেসব জিনিস অর্জন করতে পারিনি, সেসব যেন এবার অর্জন করতে পারি।’

নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে জাকের বলেন,, ‘যখন থেকে শুনলাম যে আমি দলে আছি, তখন থেকেই ম্যাচ বাই ম্যাচ দেখা শুরু করে দিয়েছি। কার সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে, কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে কী রকম কৌশলে নিতে হবে, সেগুলো নিয়ে ভাবছি। সেভাবেই এগোচ্ছি।’

জাকের আলী জাতীয় দলে খেলায় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার মায়েরও, ‘কাছের সবাই খুব গর্ববোধ করে। আম্মার স্বপ্ন ছিল, আমি দেশের হয়ে খেলব। উনি সব সময় বলতেন, “তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফি ভাইদের দলে তুই কবে খেলবি।” এটাই আমার আম্মার স্বপ্ন ছিল। আর এখন উনি খুব গর্ববোধ করেন। আব্বা যত দিন ছিলেন, তিনি মাঠে বসে থাকতেন। আব্বা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেত।’

আম্মার স্বপ্ন ছিল, আমি দেশের হয়ে খেলব। উনি সব সময় বলতেন, “তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফি ভাইদের দলে তুই কবে খেলবি।” এখন উনি খুব গর্ববোধ করেন। আব্বা যত দিন ছিলেন, তিনি মাঠে বসে থাকতেন। আব্বা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেত।

নিজের বড় ভাই ও বিকেএসপিকে নিয়ে জাকের বলেন, ‘আমার বড় ভাইকে দেখে ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। আমি যখন ক্রিকেট দেখা শুরু করি, সে সময় আমার ভাইও ক্রিকেট খেলত। এসব কারণে সবার ভালো সমর্থন পেয়েছি। আমি ২০১০ সালে বিকেএসপিতে ট্রায়াল দিই, এখানে আসার পরই স্বপ্নগুলো বড় হতে থাকে। শুরুতে স্বপ্ন এত বড় ছিল না। তবে এখানে এসে যখন বড় ভাইদের দেখলাম, তখন মনে হলো স্বপ্নগুলো বড় করতে হবে। যদি আমি হবিগঞ্জে বসে থাকতাম, আমার মনে হয় না এতদূর আসতে পারতাম।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ