ঢাকা, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

মাহমুদউল্লাহ’র পরামর্শে উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়লেন মুস্তাফিজ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ মে ২৬ ১২:৫১:৪১
মাহমুদউল্লাহ’র পরামর্শে উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়লেন মুস্তাফিজ

শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছিল টানা দুই ম্যাচে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ হারার পর অনেকেই দাবি তুলেছিলেন বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব থেকে শান্তকে সরিয়ে দেয়ার জন্য। এবার তৃতীয় ম্যাচে যেন সেটাই দেখা গেল। নামে শান্ত অধিনায়ক থাকলেও মাঠে দেখা গেল ভিন্ন জনকে। বোলিং পরিবর্তন থেকে পরামর্শ সবকিছুর দায়িত্ব তুলে নিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

তার পরামর্শে অসাধারণ বোলিং করেন মুস্তাফিজুর রহমান। রিয়াদের ক্যাপ্টেন্সি কিভাবে পাল্টে দিলো ফিজকে। সমালোচনার শিকার হচ্ছেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কত্বের দিক থেকেও তার একের পর এক বাজে সিদ্ধান্ত। যেগুলো বাংলাদেশ দলকে ভুগিয়েছে প্রথম দুই ম্যাচে। তাই তৃতীয় ম্যাচে শান্তকে রেখে দায়িত্ব তুলে নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচে একাধিকবার দেখা যায় রিয়াদকে সিদ্ধান্ত নিতে। তার সাথে সব বোলারদের পরামর্শ দিতে। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসলেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ের একের পর এক কাটারের সাথে সুইং দিয়ে শুরুর চার বলে পরাস্ত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যান সায়ন জাহাঙ্গীরকে।

আর প্রথম চার বল দেখে মনে মনে পরিকল্পনা করলেন টাইগার দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাথে সাথে ছুটে আসলেন বলার মুস্তাফিজের কাছে, দিলেন পরামর্শ। ব্যাটসম্যানদের দুর্বল জায়গা ধরিয়ে দিলেন কাটার মাস্টারকে। ঠিক পরের বল অর্থাৎ ওভারের পঞ্চম বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়লেন জাহাঙ্গীর। উইকেট পেয়েই রিয়াদের কাছে দৌড়ে গেলেন মুস্তাফিজ।

এখান থেকে বোঝা যায় শান্ত নয় অধিনায়ক হিসেবে দলের ভূমিকা রাখেন অভিজ্ঞ সাইলেন্ট কিলার। এই ম্যাচে রিয়াদের সেই পরামর্শের পরই যেন পাল্টে জান মুস্তাফিজ। প্রথম দুই ম্যাচে তেমন কিছু করতে না পারলেও এই ম্যাচে ইনফর্ম ফিজকে দেখলো টাইগার সর্মথকরা। কথিত আছে ফিজের ব্যর্থতার অন্যতম বড় কারণ তাকে দলের অধিনায়করা ঠিকমতো ব্যবহার করতে জানে না। ধোনির পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যেন আরো একবার সেটারই প্রমাণ করলেন। বল হাতে এই ম্যাচে ফিজ ছিলেন দুর্বার অপ্রতিরোধ্য। চার ওভার বল করে ১০ রান খরচ করে নেন ৬ উইকেট।

যেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেরা বোলিং ফিগারতো বটে সাথে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সপ্তম। এর আগে বাংলাদেশীদের মধ্যে রেকর্ড ছিল ইলিয়াস সানী দখলে। শুধু তাই নয় একাধিকবার দেখা যায় লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন কেউ পরামর্শ দিতে। ফিল্ডিং সেটাপেও সক্রিয় ছিলেন রিয়াদ। রিয়াদের কথায় বেশ কয়েকবার ফিল্ডাদের পজিশন পাল্টিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত। এমনকি দলের প্রয়োজনে বল তুলে নেন নিজের হাতে।

দুই ওভার বল করে রান খরচ করেন মাত্র ১১। এই ম্যাচে ফিজের মত পাল্টে যায় বাংলাদেশের বিশেষ করে রিশাদ হোসেনের বোলিং নৈপুণ্য। ৪ ওভারে বল করে রান দেন মাত্র ৭ রান। যেটা কিনা ইকোনমিক্যাল রেটের দিক থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা। তবে রিয়াদের এমন দায়িত্ব নেয়ার তরুণদের উজ্জীবিত করার প্রমাণ করেন নামে না কাজেও সাইলেন্ট কিলার এখন বড় ভাই দলের। কঠিন সময় বল হাতে যেমন দায়িত্ব নেন তিনি নেতৃত্বে দিক থেকেও চুপ করে বসে থাকতে পারেন না এটাই প্রমাণ করে দলের প্রতি তার ভালোবাসা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ