ডলার নিয়ে সুখবর দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
![ডলার নিয়ে সুখবর দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক](https://www.24updatenews.com/thum/article_images/2024/03/30/24updatenews-12.jpg&w=315&h=195)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নড়েচড়ে বসায় দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান ডলার সংকট কিছুটা কমেছে। বেপরোয়া হয়ে ডলার কারসাজিতে জড়িয়ে পড়া ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারদের শাস্তির আওতায় আনার পর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। বর্তমানে সবমিলিয়ে দেশে ডলারের সংকট কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে টানা কয়েক মাস রেমিট্যান্সেও বইছে সুবাতাস।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলসি পেমেন্ট দিতে না পারায় একসময় প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কেনায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল ব্যাংক। ফলে প্রতি ডলারের দাম উঠেছিল ১২০ টাকায়। তবে এখন প্রবাসী আয়ের ডলার ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে। প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম কমায় ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকায় নেমে এসেছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোতে যে তারল্য সংকট ছিল, সেটাও কমে এসেছে কিছুটা। ডলার কারসাজিতে জড়িয়ে পড়া বেপরোয়া ব্যাংক ও মানি চেঞ্জাররা শাস্তির আওতায়। সতর্ক অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানও।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ডলার সংকট কমে আসার পেছনে কয়েকটি উদ্যোগ কাজে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি আরোপের কারণে আমদানি কমে আসা। একইভাবে ডলারের দাম নিয়ে কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে আসায় রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকা অদল-বদলের (সোয়াপ) সুবিধার কারণে সংকট কিছুটা কমে এসেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। দুই দেশের এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে। এতে আমদানি খরচ হঠাৎ বেড়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২২ সালের জুনে ৮৩৭ কোটি ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এলসি খোলার বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত নগদ টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়। এখন প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা। ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম নেমেছে ১১০ টাকায়। কমেছে ব্যাংকের তারল্য সংকটও।
এর ফলে কমতে থাকে আমদানি দায়। কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আমদানি দায় পরিশোধ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। এ মাসে আমদানি দায় পরিশোধ হয় ৪৬৭ কোটি ডলারের। তার আগের মাস জানুয়ারিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয়েছিল ৫৯৬ কোটি ডলারের। আমদানি দায় পরিশোধ হলো সংশ্লিষ্ট মাসের প্রকৃত ডলার খরচ। ফলে এ হিসাবে দেখা যায় ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমে এসেছে।
এরই মধ্যে সুবাতাস বইছে রেমিট্যান্সে। ধারাবাহিকভাবে কিছুটা উন্নতির দিকে অর্থনীতির অন্যতম এ সূচক। গত ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এরপর জানুয়ারিতে আসে ২১১ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়ায় ২১৬ কোটি ডলারে। চলতি মার্চের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ মাসেও রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছে পরিবর্তন, বাদ পড়ছেন যে ক্রিকেটার
- সৌদি রিয়াল রেটের লম্বা লাফ, জেনেনিন আজকের রেট কত
- সমন্বয়ক সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- বিপিএল-এ ফিক্সিং নিয়ে আলোচনা: সন্দেহভাজন ১০ ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ
- বিপিএল মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছেন দুই জন
- এক ম্যাচের জন্য যত টাকা নিলেন রাসেল-জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড
- ব্রেকিং নিউজ: নিষিদ্ধ হলেন তানজিম সাকিব
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আহত সারজিস আলম
- বিপিএলের ৮ ম্যাচে ফিক্সিং সন্দেহ, ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ
- ফরচুন বরিশালের একাদশ
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- কোয়ালিফায়ার ম্যাচের জন্য খুলনা টাইগার্সের সম্ভাব্য সেরা একাদশ
- আরব আমিরাতের ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর, আসলো নতুন ঘোষণা
- বিপিএল ফাইনাল ম্যাচের সময় সূচি