ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

এইমাত্র পাওয়া: বিদেশি ঋণের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ

অর্থনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ মার্চ ২৩ ১৩:১২:১৫
এইমাত্র পাওয়া: বিদেশি ঋণের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ

ঋণের বোঝা বাড়তেই আছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণে রেকর্ড গড়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। দেশে বিদেশি মুদ্রার ঘাটতির মধ্যে বিদেশি ঋণের এই বৃদ্ধি চ্যালেঞ্জিং ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল শেষে সামগ্রিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০.৬০ বিলিয়ন ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ৯৬.৫০ বিলিয়ন ডলার। এই ঋণের মধ্যে ৭৯.৬৯ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে সরকারি খাত এবং বাকি অংশ নিয়েছে বেসরকারি খাত। এর মধ্যে আবার ৮৫ শতাংশ ঋণ দীর্ঘমেয়াদী এবং বাকিগুলো স্বল্পমেয়াদী।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশিষ্ট ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদেশি ঋণ ও ঋণের ব্যয় দুটোই বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩৬.৭০ শতাংশ বেড়ে ৫৬২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সর্বশেষ নেওয়া বিদেশি ঋণ ব্যয়বহুল, তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যেন ঋণ পরিশোধে কোনো সমস্যা না হয়। তিনি বলেন, এছাড়া বিদেশি ঋণের বিপরীতে রিটার্ন আসছে স্থানীয় মুদ্রায় বা টাকায়, তাই ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বিদেশি ঋণের ব্যয় বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পগুলোর জন্য পাইপলাইনে যে বিদেশি ঋণ জমা আছে, তা দ্রুত ব্যবহার করতে হবে, যেন সুদের ব্যয় না বাড়ে। এদিকে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ প্রায় ১৪ শতাংশ কমে ২০.৯৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, আগে বিদেশি ঋণের সুদহার ১ থেকে ২ শতাংশ থাকলেও এখন তা বেড়ে ৮ থেকে ৯ শতাংশ হয়েছে। এটিই বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ কমার প্রবণতার মূল কারণ।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে