ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

তিন শর্তে আইপিএল খেলার অনুমতি পেল শ্রেয়াস

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ মার্চ ১৮ ১২:১৫:৩২
তিন শর্তে আইপিএল খেলার অনুমতি পেল শ্রেয়াস

বেশ কিছু দিন ধরে আলোচনা হচ্ছিল যে এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে যেতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার। তার অন্যতম কারণ হলো পিঠের ইনজুরি। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে আইপিএল খেলার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। তবে জুড়ে দেয়া হয়েছে কিছু শর্ত। যা না মানলে হবে বড় বিপদ।

একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মুম্বইয়ের এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন শ্রেয়াস। সেই চিকিৎসকই শ্রেয়াসকে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছেন। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁকে কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছেন চিকিৎসক।

শ্রেয়সকে সামনের দিকে পা বেশি এগিয়ে খেলতে নিষেধ করা হয়েছে। খুব বেশি ঝুঁকে শট খেলতেও নিষেধ করা হয়েছে। যে সব শটে পিঠের উপর চাপ পড়তে পারে তা কম খেলতে বলা হয়েছে। এই তিনটি শর্ত মানতে হবে শ্রেয়সকে। কারণ, বেশি ঝুঁকলে তাঁর পিঠের ব্যথা আরও বাড়তে পারে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, “শ্রেয়স খেলার জন্য ফিট। এক জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে ও কথা বলেছিল। রক্ষণাত্মক শট খেলার সময় শ্রেয়সকে বেশি ঝুঁকতে নিষেধ করা হয়েছে। পিঠের উপর যাতে চাপ না পড়ে সে দিকে ওকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। শ্রেয়স কেকেআর শিবিরে যোগ দিয়েছে।”

পিঠের চোট শ্রেয়সের নতুন নয়। বার বার এই চোট তাঁকে ভুগিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের পরে শ্রেয়স বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, বেশি ক্ষণ খেললেই পিঠে ব্যথা হচ্ছে তাঁর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ তিনটি টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েন শ্রেয়স। তার পরে রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালেও খেলেননি তিনি। ফাইনালের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ রানের ইনিংস খেলার পরের দিন মাঠে নামেননি শ্রেয়স। ফিল্ডিং করেননি। তিনি জানান, আবার পিঠে ব্যথা হচ্ছে। ফলে তাঁর এমআরআই করা হয়। সেই রিপোর্ট পাঠানো হয় জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির চিকিৎসকদের কাছে। তার পরেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন শ্রেয়স।

ছাড়পত্র পেলেও শর্ত মেনে খেলা ছাড়া উপায় নেই শ্রেয়সের সামনে। কারণ, বোর্ড এখন চোট নিয়ে খুব কড়া। যে সব ক্রিকেটারেরা বার বার চোট পান তাঁদের দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। তাঁদের মাঝেমধ্যেই জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা খতিয়ে দেখেন। বোর্ডের নিয়ম না মানলে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ঈশান কিশনের ক্ষেত্রেই সেটা বোঝা গিয়েছে। শ্রেয়সও বোর্ডের নজরে রয়েছেন। তাই নিয়ম না মানলে বিপদে পড়তে হতে পারে তাঁকে।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ