ঢাকা, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

অনুশীলনে ৫০০ থেকে ৬০০ বল খেলেন সারফারাজ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০২ ১৫:২৯:৩৪
অনুশীলনে ৫০০ থেকে ৬০০ বল খেলেন সারফারাজ

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৫ ম্যাচে ১৪টি সেঞ্চুরি। ব্যাটিং গড় ৬৯.৮৫। তিনি প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি পরপর দুই রঞ্জি ট্রফি মৌসুমে কমপক্ষে ৯০০ রান করেন। লাল বলের ক্রিকেটে সরফরাজ খানের পরিসংখ্যান চোখ ধাঁধানো। একটানা দৌড়ানোর রহস্য কি? ভারতীয় টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া ব্যাটসম্যান কঠিন প্রশিক্ষণের কথা বলেছেন। তার মতে, যত বেশি প্রশিক্ষণ, ম্যাচে ইনিংস তত দীর্ঘ।

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে রান দিলেও জাতীয় দলের দরজা খোলেননি সরফরাজ। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে সুযোগ পেলেন তিনি। লোকেশ রাহুল চোটের কারণে বাদ পড়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টেও তার অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচিত সরফরাজের নাম একবার স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের সাথে উল্লেখ করা হয়েছিল। পরপর দুটি রঞ্জি ট্রফি মৌসুমে ৯০০ বা তার বেশি রান করার পর, ২০২২ সালের জুন মাসে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৫ ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৮২.৮৩ । এই সংস্করণে কমপক্ষে ২০০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শুধুমাত্র ব্র্যাডম্যানের গড় ছিল। তার চেয়ে বেশি ৪৫ ম্যাচের পর ব্র্যাডম্যানসহ মাত্র তিনজন ব্যাটিং গড়ে সরফরাজের উপরে।

গত মাসে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৯৬ রানের ইনিংসের পর প্রথম চার দিনের ম্যাচে ফিফটি এবং দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে ১৬০ বলে ১৬১ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট দলে এসেছেন সারফারাজ। জিওসিনেমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, সহজে কিছুতে তৃপ্ত না হওয়াই তার আসল শক্তি।

“আমার শক্তি হলো আমি সহজে সন্তুষ্ট হই না। আমি প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ বল খেলি। ম্যাচে যদি ২০০ থেকে ৩০০ বল খেলতে না পারি, তাহলে মনে হয় আমি কিছুই করিনি। এটা এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় অনুশীলন।”

“আমি শুধু একটা বিষয়েই অভ্যস্ত, ব্যাটিং আর বল খেলা। পাঁচ দিনের ক্রিকেট খেলতে চাইলে ধৈর্য ধরে রেখে প্রতিদিন অনুশীলন করতে হবে। আমি সারাদিন ক্রিকেট খেলি এবং সে কারণেই দীর্ঘ সময় মাঠে থাকতে পারি।”

কাদের ব্যাটিং দেখে শেখার চেষ্টা করেন, সেটাও জানালেন সারফারাজ।

“ভিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস, এমনকি জাভেদ মিয়াঁদাদের ব্যাটিং দেখি আমি। বাবা বলেন, আমি নাকি তার (মিয়াঁদাদ) মতো ব্যাট করি। জো রুটের ব্যাটিংও দেখি। যারাই সফল হচ্ছে তাদের দেখি এবং শেখার চেষ্টা করি যে তারা কীভাবে সাফল্য পাচ্ছে। মাঠে সেটা কাজে লাগাই। এটাই করে যেতে চাই, সেটা রঞ্জি ট্রফিই হোক বা ভারতের হয়ে খেলা।”

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ