ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

ফোনে ওটিপি দিয়ে সব শেষ মৌসুমির!

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০২ ১১:৪৪:১২
ফোনে ওটিপি দিয়ে সব শেষ মৌসুমির!

মৌসুমী ব্যানার্জি, যিনি একজন ব্যাঙ্ক কর্মকতা হিসাবে নিজেকে জাহির করেছিলেন, অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত করার জন্য তথ্য চেয়েছিলেন। না ভেবেই তথ্য দিতে ২০ লাখ টাকা দেন। এই ঘটনায় ৫৮ বছর বয়সী ওই গ্রাহক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতারণার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির শ্রীরামপুরে।

পুলিশ জানিয়েছে যে ফোনে কোনও ব্যাঙ্কিং তথ্য না দেওয়ার প্রচারাভিযান সত্ত্বেও, একদল লোক ভুল করছে। সাইবার অপরাধীরা প্রাথমিকভাবে বয়স্কদের টার্গেট করে।

মৌসুমী ব্যানার্জি একটি বীমা কোম্পানির কর্মচারী। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর এবং তাঁর মেয়ে সোনান্দিতার যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তার কাছে মুশুমির ফোন নম্বর আছে।

সুনন্দিতা জানান, গত বুধবার বিকেলে তার মায়ের মুঠোফোনে একজন পুরুষ কণ্ঠ থেকে ব্যাংক ব্যবস্থাপকের পরিচয় দিয়ে ফোন আসে। যে বলে, অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য কিছু তথ্য প্রয়োজন। অপরাধী নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে "গ্রাহক আইডি" জানতে অনুরোধ করবে। ওটিপি ভেরিফিকেশনের জন্য মোবাইলে আসে। তার কথায় বিভ্রান্ত হয়ে ওটিপি বলে। অপরাধী আরও তথ্য চুরি করে।

মৌসুমীকে বিভ্রান্ত করে মোট ৪৪ বার তার থেকে ওটিপি জেনে নেয় প্রতারক। দেড় ঘণ্টার মধ্যে ১৬ বারে অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬৯ টাকা তুলে নেওয়া হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরেই ব্যাংকে লেনদেন প্রক্রিয়া বন্ধ করেন সুনন্দিতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশেরও দ্বারস্থ হন।

সুনন্দিতা বলেন, এখনও ওই নম্বর থেকে ক্রমাগত ফোন আসছে। বুঝতে পারছি, নেটব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

হুগলিতে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন প্রবীণ নাগরিক এ ভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রতারকেরা ফোন করে ব্যাংক কর্মকর্তা সেজে ছলেবলে বিভ্রান্ত করেছে। কিছু ক্ষেত্রে এটিএমে প্রতারণার শিকার হয়েছেন প্রবীণরা।

একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতারকেরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যায় প্রতারণার লক্ষ্যে। কোনো ক্ষেত্রে বয়স্করা তার শিকার হচ্ছেন। আরও কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার জাল বিছাচ্ছে প্রতারকেরা। যেমন, অনেক সময় জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) ‘চুরি’ করছে। তা ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তথ্য জেনে যাচ্ছে প্রতারক। ফোন করে সেই তথ্য সামনে রাখায় সহজেই বিশ্বাস করে ঠকে যাচ্ছেন অনেকে। মোবাইলে আসা ওটিপিও বলে ফেলছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে