ঢাকা, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

বছরের শুরুতে কমলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০১ ২১:৩৫:৩৬
বছরের শুরুতে কমলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

দেশে দীর্ঘদিন ধরে ডলারের সংকট থাকলেও রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে না। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। সঙ্কটের কারণে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় গত ২১ দিনে তা ২৫২৩ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ৩ জানুয়ারি, রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট রিজার্ভ ২৫৩৩ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, আইএমএফ অ্যাকাউন্টিং নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের BPM-6 পদ্ধতির ভিত্তিতে .৯৪ বিলিয়ন রয়েছে। অর্থাৎ, BPM-6 অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ এখন ২৫.০৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মজুদ কমে যাওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা বাড়ছে। ফলে এলসির দায় দিন দিন বাড়ছে।

এছাড়াও, একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক বলেছে যে তার পণ্য আমদানির জন্য দায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বেড়েছে। বড় বড় সরকারি প্রকল্প, জ্বালানি তেল এবং ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে। কিন্তু এর একটি বড় অংশ এখন পরিশোধ করতে পারছে না।

একই সঙ্গে বিদেশি এয়ার লাইন্সগুলোর টিকিট বিক্রির বড় একটি অংশ তারা নিজ দেশে নিতে পারছে না। অপর দিকে বিদেশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোরও বকেয়া দায় বেড়ে গেছে। ডলার সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তার বকেয়া দায়ের বড় একটি অংশ পরিশোধ করতে পারছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে, বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন হয়েছে। এতে ডলারের দাম বেড়েছে, কমেছে টাকার মান।

এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। ফলে টাকার হিসাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও ডলারের হিসাবে বাড়েনি, বরং কমে গেছে। ডলারে ঋণ কমায় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডও কম হয়েছে। অন্যদিকে বৈদেশিক দায়-দেনার পরিমাণ বেড়ে গেছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ