ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দেশের তাপমাত্রা নামল ৬ ডিগ্রিতে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জানুয়ারি ২৮ ১১:১৩:৫৮
দেশের তাপমাত্রা নামল ৬ ডিগ্রিতে

নীলফামারীতে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঘেরা। সীমিত আয়ের মানুষ শীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘন কুয়াশায় যান চলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এটি মাঝারি তাপমাত্রা সহ একটি ঠান্ডা স্রোত। ডিমলায় আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এমতাবস্থায় যেখানে মানুষ শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হয়, সেখানে রাস্তাঘাট, বাজারের স্টল, রেলস্টেশন, বাস স্টপেজসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের উপস্থিতি নেই। সরকারি-বেসরকারি অফিসে কর্মচারীরা এলেও কাজে স্থবিরতা রয়েছে। সীমিত আয়ের মানুষ জীবিকার সন্ধানে বাইরে গেলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন। অটো রিকশাচালক, দিনমজুর ও কৃষি শ্রমিকদের বেহাল দশা। ঠাণ্ডা বাতাসে ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে চরবাসীর। ঘন কুয়াশা ও শিলাবৃষ্টি ধানক্ষেত ও আলু ক্ষেত ধ্বংস করে। এতে কৃষকরা বিভ্রান্ত। ঠাণ্ডায় ভুগছে গরু-ছাগল।

সদর উপজেলার টুপামারী এলাকার হামিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজকে ঠান্ডাটা বেশি। ঠান্ডা বেশি হলেও কিছু করার নেই। কাজ করে পেট চালাতে হবে। কাজ না করলে পেটে ভাত যাবে না।

জেলা সদরের ট্রাফিক মোড় এলাকার রিকশাচালক জাহাঙ্গীর মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ঠান্ডায় যাত্রী ঠিকমতো পাই না। শহর ফাঁকা, লোকজন নেই। রিকশা জমার টাকা কামাই হয় না। পরিবারে পাঁচজনের জন্য প্রতিদিন ৩০০ টাকার বাজার লাগে। এই ঠান্ডা বাতাস কাল হয়ে দাঁড়াইছে। এভাবে জীবন চলে না।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে নীলফামারীর তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আজ সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলিত মৌসুমে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ রকম তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা কম।

নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা লাগানো একেবারেই যাবে না।

নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শীতবস্ত্র হিসেবে জেলার ৬ উপজেলা ও চার পৌরসভায় চার দফায় ৪২ হাজার কম্বল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শীতার্ত মানুষদের কথা চিন্তা করে আরও শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত শীতবস্ত্র পাওয়া যাবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে