ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

সোশ্যাল মিডিয়ার গুঞ্জন বিসিবির সভাপতি হচ্ছেন ম্যাশ কিন্তু পিছনে জটিল সমীকরণ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জানুয়ারি ২২ ১৯:৫৮:৫৭
সোশ্যাল মিডিয়ার গুঞ্জন বিসিবির সভাপতি হচ্ছেন ম্যাশ কিন্তু পিছনে জটিল সমীকরণ

বোর্ড সভাপতি কে হবে এ নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে একটি নাম খুব দ্রুত চলে আসে সেটি হল মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি যেমন একাধারে একজন সফল অধিনায়ক তেমনি তার রয়েছে নেতৃত্বের গুণাবলী। বিশেষ করে তার রাজনীতিতে যোগদানের পর তিনি যেভাবে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয় ।এবং তার নিজ জেলা নড়াইল কে একটি মডেল জেলা হিসেবে রূপান্তরিত করেছেন যেটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মাশরাফি বিন মর্তুজা যেভাবে কাজ করে চলেছেন মাঠে ঘাটে মানুষের সাথে মিশে সততার সহিত এরকম একজন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য প্রয়োজন ।যিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে খুব দ্রুত বদলে ফেলতে পারবেন তিনি আর কেউ নয় মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য কল্যাণকর তবে চাইলেই তাকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট করা যাবে না কারণ এ ক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন নীতিমালা ,আইন-কানুন।

এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রক্রিয়া , তার প্রথম প্রক্রিয়াটি হচ্ছে তাকে বোর্ডের কাউন্সিলর হতে হবে। কাউন্সিলর হতে হলে ঘরোয়া লীগে কোন দলকে কিনতে হবে। টাকা দিয়ে কোন দলকে কিনতে হবে বা কোন দলকে সরাসরি পরিচালনা করতে হবে। ঢাকা প্রথম বিভাগ দ্বিতীয় বিভাগ তৃতীয় বিভাগ বা ডিভিশন বিভাগে একটি দল থাকতে হবে এবং সরাসরি তাকে পরিচালনা করতে হবে। ঢাকা বোর্ডের দল থাকলে বা দল পরিচালনা করলে একজন কাউন্সিলরেরের সদস্য হতে পারবে। কাউন্সিলর হওয়ার পর প্রসঙ্গ আসবে আপনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কিনা। বোর্ডের পরিচালক হওয়ার জন্য তখন ইলেকশন করতে হবে বা লড়াই করতে হবে। বোর্ডের পরিচালক হওয়ার পর ২৫ জন যে চেয়ারম্যান রয়েছে তারপর তারা বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বা সভাপতি নির্ধারণ করবে। প্রক্রিয়াটি এতটা সহজ নয় কারণ এখানে একাধিক বার নির্বাচন করতে হয়।

এন এস সি কর্তৃক মনোনীত দুইজন বোর্ড ডিরেক্টর হন এদেরকে নির্বাচন করতে হয় না বা কাউন্সিলর হতে হয় না। সরাসরি এনএসসি হতে মনোনয়ন দেয়া হয়। যদি এরকম ভাবে এনএসসি করতে দুই জনকে বোর্ড ডিরেক্টর করা হয় তবে সে ক্ষেত্রে তারা নির্বাচন করতে পারবে। বোর্ড ডিরেক্টরদের মধ্য থেকে যদি কেউ নিজে থেকে দায়িত্ব সরে যেতে চাইলেন কিংবা অসুস্থ থাকে সেই ক্ষেত্রে এনএসসি কর্তৃক কাউকে মনোনয়ন দেওয়া যায়। এনএসসি সে ক্ষেত্রে সাকিব কিংবা মাশরাফিকে বোর্ড ডিরেক্টর এর জায়গায় বসাতে পারবে। বোর্ড ডিরেক্টর হওয়ার পরেও ২৫ জন যে বোর্ড ডিরেক্টর রয়েছে তারপর তারা আবার নির্বাচন করে বা ভোটের আয়োজন করে তারপর বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। প্রক্রিয়াটি এতটা ও সহজ নয়। উপরোক্ত দুটি গুণাবলি লাগবে একজনকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য।

মাশরাফি যেহেতু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নয় মাশরাফি ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হতে আগ্রহী কিনা সেখানেও রয়েছে সংশয়। ক্রিকেট একটি ছোট জায়গা এবং মাশরাফি রাজনীতিতে রয়েছেন এবং নড়াইলের প্রায় চার লক্ষ লোকের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান বিভিন্ন জিনিসের দায়িত্ব তার হাতে তিনি সকল দায়িত্ব পালন করেন। সকলে দেখছেন তিনি কিভাবে মাঠ পর্যায়ে থেকে কাজগুলো সম্পন্ন করেন। এ মুহূর্তে আসলে বলা যাচ্ছে না মাশরাফি তার সময় বের করতে পারবেন কিনা ক্রিকেট বোর্ডের জন্য। কারণ তার নির্বাচনী এলাকায় তার একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। যদি বোর্ডের ডিরেক্টরদের কাউকে পদত্যাগ করিয়ে মাশরাফিকে মনোনীত করেন সেই ক্ষেত্রে মাশরাফির জন্য সহজ হয়ে যাবে কারণ মাশরাফি তো কাউন্সিলর নয়। পরবর্তীতে নির্বাচনের মাধ্যমে মাশরাফিকে বোর্ডের প্রেসিডেন্ট করা যাবে যদি তিনি জয়যুক্ত হন।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ