ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

স্বর্ণ বিক্রি করতে গেলে দাম কমে যাওয়ার কারণ জানা গেল

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জানুয়ারি ১৮ ২৩:১৬:১৭
স্বর্ণ বিক্রি করতে গেলে দাম কমে যাওয়ার কারণ জানা গেল

বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের দাম একেক সময় একেক রকম হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য ওঠানামা, তেলের দাম, মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা সংকটের কারণে স্বর্ণের দাম পরিবর্তন হয়। দেশে এই দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

রেকর্ড দামের এক কার্যদিবস পরেই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাজুস।

এদিকে নতুন স্বর্ণের দাম ছাড়াও পুরোনো স্বর্ণের বিক্রির দামও নির্ধারণ করে দেয় সংগঠনটি। নিয়ম অনুযায়ী, পুরোনো স্বর্ণের গয়না বিক্রি করতে গেলে কেনা দামের ২০ শতাংশ কম পাওয়া যাবে। বদলাতে গেলেও একই নিয়ম।

এবিষয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের সুলতানা জুয়েলার্সের বিক্রয়কর্মী প্রদীপ রঞ্জন সরকার জানান, আজকে কিনে নিয়ে গিয়ে পছন্দ না হলে কোনো রকম মূল্য হ্রাস না করেই বদলে নেয়ার সুযোগ রাখি। সেটি কখনো তিন দিনের মধ্যে, কখনো সাত দিন সময় দেয়া হয়। তবে বেশির ভাগ দোকানে এটি শুধু বদলে নেয়ার জন্যই প্রযোজ্য, বিক্রির ক্ষেত্রে নয়। কোনো কোনো দোকানে কেনার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করতে গেলেও সাধারণত কর, তৈরির মজুরি ইত্যাদি কেটে রাখা হয়।

অনেকের দাবি, আশি বা নব্বইয়ের দশকের স্বর্ণের দাম পাচ্ছেন না। এবিষয়ে শতরূপা জুয়েলার্সের বিক্রয়কর্মী দীপন কর্মকার বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি স্বর্ণের গয়নায় ক্যারেট হিসাব থাকে না। তাই এর দাম নতুন স্বর্ণের তুলনায় কম।

প্রীতম জুয়েলার্সের স্বর্ণকার প্রকাশ বললেন, সনাতন পদ্ধতির অলংকারে রুপা, তামাসহ নানা ধরনের খাদ অনেক বেশি মাত্রায় মেশানো থাকে। ফলে বিশুদ্ধতা হয় অনেক কম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি অলংকারে বিশুদ্ধ স্বর্ণ থাকে ১৪ আনা ২ রতি। ২১ ক্যারেটে ১৪ আনা ও ১৮ ক্যারেটে পাওয়া যায় ১২ আনা বিশুদ্ধ স্বর্ণ। অন্য দিকে সনাতন পদ্ধতির অলংকারে খুব বেশি হলে বিশুদ্ধ স্বর্ণ পরিমাণ থাকে ১০ আনা। এখন সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা বেড়ে প্রতি ভরি দাঁড়াবে ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা।

এ বিষয়ে দীপন বলেন, পুরোনো দিনে ২০-২৫-৩০ হাজার টাকা ভরির গয়নার দাম আজকাল কেনা দামের প্রায় ২ থেকে ৩ গুণ বেশি, সেটাই বা কম কী?

স্বর্ণ বিক্রি করতে চাইলে দামটা ঠিকঠাক নাও থাকতে পারে জানিয়ে রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্সের অধীর সরকার বলেন, এটা আসলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একটা ব্যবসানীতি বলা যায়। এর সঙ্গে বাকিরাও এক মত। তাই পরামর্শ হচ্ছে, যে দোকানের গয়না, সম্ভব হলে সেখানেই ফেরত দেয়া।

মিনাকারি নকশার স্বর্ণের দামের বিষয়ে দীপন কর্মকার তিনি বলেন, ক্রেতার কাছে বিক্রির সময় মিনাকারির মজুরি রাখা হয়। আর ক্রেতার থেকে কেনার সময় মিনাকারি বাদ দিয়ে স্বর্ণে ক্যারেট ও ভরি হিসাবে নিয়ম অনুযায়ী ২০ শতাংশ বাদ দিয়ে দাম দেয়া হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এর সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, এটি আমাদের ব্যবসায়িক নীতি। পৃথিবীতে কোনো পণ্যই বিক্রির পর ফেরত নেয়া হয় না। একমাত্র স্বর্ণ বা ডায়মন্ড বিক্রির পর ফেরত নেয়া হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে