ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

মন্ত্রী হচ্ছে পাপন, বিসিবির দায়িত্ব ছাড়বেন নাকি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জানুয়ারি ১০ ২১:৫৭:১৯
মন্ত্রী হচ্ছে পাপন, বিসিবির দায়িত্ব ছাড়বেন নাকি

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। টানা কয়েকবার সংসদ সদস্য থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রিত্ব পাননি এই ক্রীড়া সংগঠক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ (বুধবার) ঘোষিত মন্ত্রীদের মধ্যে বিসিবি সভাপতির নামও রয়েছে। পাপন ২৫ জন মন্ত্রীর একজন।

পাপনের নাম ঘোষণা হওয়ার পরপরই আলোড়ন তৈরি হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আলোচনায় পাপন বিসিবি সভাপতি পদে থাকছেন তো? যদিও মন্ত্রিত্বের সঙ্গে বোর্ড সভাপতির কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই। ক্রিকেট বোর্ডে তিনি চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি পদে মেয়াদ রয়েছে তার।

ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রীড়া আইনে মন্ত্রিত্ব পেলে কোনো ফেডারেশনের সভাপতিত্ব করা যাবে না— এমন কোনো নিয়ম নেই। ২০১৩ সাল থেকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছে। এর আগে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সরকার কর্তৃক মনোনীত ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারের অনেক মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতির তালিকায় থাকা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবের হোসেন চৌধুরি মন্ত্রিত্ব এবং বোর্ড সভাপতি উভয় পদেই একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৮৭-৯০ সাল পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি ছিলেন। ওই সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। বোর্ড সভাপতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী উভয় পদে আনিস মাহমুদের উত্তরসূরি আবু সালেহ মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরি। বিসিবির সভাপতি দায়িত্ব পালনকালে তিনি নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন।

নব্বইয়ের দশকে বিসিবি সভাপতিদের মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। ২০০১ সাল পরবর্তী সময়ে কোনো মন্ত্রী বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেননি। আ হ ম মোস্তফা কামাল বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার পর মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। বর্তমানে ক্রিকেটে জনসম্পৃক্ততা এবং আন্তর্জাতিক ব্যপ্তি অনেক বেশি। তাই মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ড সামলানোটা বড় চ্যালেঞ্জই হবে পাপনের জন্য। তবে আইনের সঙ্গে এর কোনো সাংষর্ষিকতা নেই।

গত দুই দশকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি কোনো মন্ত্রী ছিলেন না। তবে অন্য ফেডারেশনগুলোর সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। ফুটবল, ক্রিকেট বাদে দেশের প্রায় সব ফেডারেশনই এখন নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নির্ভর। সভাপতি পদটি মনোনীত। ওই পদে সরকার (ক্রীড়া মন্ত্রণালয়) অনেক সময় সভাপতি পদে মন্ত্রীদের মনোয়ন দেয়।

আজ ঘোষিত ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রীর মধ্যে পাপনের নাম থাকলেও নেই মন্ত্রণালয়ের নাম। বিসিবিতে পাপনের ঘনিষ্ঠ অনেকের মতে, খুব সম্ভবত পাপন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। বিসিবি’র সাবেক সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামালও পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সাধারণত প্রতিমন্ত্রী দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তাই পাপন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আসছেন না বলে অনেকটাই নিশ্চিত ক্রীড়াঙ্গনের অধিকাংশ নীতি-নির্ধারক।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ