আর কখনো দেখা যাবে না ব্যাট হাতে, ধন্যবাদ ডেভিড ওয়ার্নার

বলটিকে একটু ধাক্কা দিয়ে রান করুন। দৌড়ের মাঝখানে তিনি তার হেলমেট খুলে ফেললেন। তারপর কর্কশ ক্রিজের উপর দিয়ে লাফিয়ে উঠলেন। চোখে বন্য আনন্দ। ডেভিড ওয়ার্নারের কথা বলতে গেলে বারবার মনে আসতে পারে এই দৃশ্য। ছাইতে কোন আকৃতি নেই। দল ছাড়ার কথা ভাবছি। তবে সিডনিতেই জীবন শেষ করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। তার মাঠে, তার শহরে।
শেষটা হলো। যতটা সুন্দর হওয়া দরকার, ঠিক ততটাই সুন্দর হলো। সিডনির বিখ্যাত ক্রিকেট মাঠে প্যাভিলিয়নের পথে লেখা ‘থ্যাংকস ডেভ’। ওয়ার্নার সেই পথ মাড়িয়ে কয়েকবারই আসা যাওয়া করেছেন আজ। শেষদিনে দলকে লিড দিয়ে এগিয়ে এনেছেন। আবার ব্যাট হাতে পেয়েছেন ফিফটি। সিডনিতে জয় পাওয়া সবসময়ই রোমাঞ্চের।
ওয়ার্নারের গল্পটাই হয়ত একটু অন্যরকম। শেষ টেস্টের আগে ব্যাগি গ্রিন ক্যাপটা হারিয়ে ফেললেন। ১ যুগ আগে এই ক্যাপ পরেই এসেছিলেন ক্রিকেটের বড় মঞ্চে। সেই ক্যাপ ফিরে পেতে আকুতিও ছিল ভীষণ। সিডনি টেস্টের মাঝেই খবর এলো, ক্যাপটা পেয়েছেন। পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে সেই ক্যাপটাই পরলেন ওয়ার্নার।
গল্পটা ফিরে আসার। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই বছর গড়টা ৪০ এর বেশি। এরপর ২০১৩ সালটা মনমতো কাটেনি। ফিরে এসেছেন পরের বছরই। ২০১৩ সালে টেস্টে ব্যাটিং গড় টেনে নিয়েছিলেন ৬৩.১১ পর্যন্ত। পরের বছরও রাখলেন ৫০ এর বেশি। মাঝে আবার ওঠানামার মধ্যেই ছিল গ্রাফ। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে পড়েছিলেন। আবার ফিরে এসে খেলেছেন রাজকীয় সব ইনিংস।
খেলা শেষে জানতে চাওয়া হয়েছিল, লোকে তাকে কীভাবে মনে রাখবে, এ ব্যাপারে তাঁর নিজের কী প্রত্যাশা? উত্তরে ওয়ার্নারের মন্তব্য, ‘রোমাঞ্চকর ও বিনোদনদায়ী। যেভাবে খেলেছি, তাতে লোকের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি বলে বিশ্বাস করি এবং আশা করি তরুণেরাও আমাকে অনুসরণ করবে। সাদা বল থেকে টেস্ট ক্রিকেট—এটাই আমাদের খেলার সর্বোচ্চ অবস্থান। তাই কঠোর পরিশ্রম করো এবং লাল বলের ক্রিকেট খেলো; কারণ, এটাও মজার।’
বাজবলের প্রবর্তন হয়েছে হয়ত কদিন আগে। কিন্তু ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে অমন মারকুটে টেস্টের সূচনা তো তিনিই করেছিলেন। ১ যুগের ক্যারিয়ারে টেস্টে ৬৫ এর নিচে স্ট্রাইকরেট রেখে খেলেছেন মোটে চার বছর। একঘেঁয়ে টেস্টে সত্যিই বিনোদনের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন ডেভি।
সাদা বলের ক্রিকেট থেকেও অনেকটা সরে গিয়েছেন। খেলবেন শুধু টি-টোয়েন্টি। ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা হয়ে কাটাবেন বাকি সময়টা। বিনোদন দিয়ে যাওয়া ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার নিজের বাকি ক্যারিয়ারটাই বিনোদন নিয়ে কাটাবেন, এটাই হয়ত প্রত্যাশা থেকে যাবে। বাঁ হাতি এই ওপেনার টেস্টে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ১১২ ম্যাচে ৮ হাজার ৭৮৬ রান করেছেন তিনি। তাতে ৪৪.৫৯ গড়ে ২৬টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
সবকিছু ছাপিয়ে তাই হয়ত বিনোদনের মানুষ হিসেবেই ওয়ার্নারকে মনে রাখবেন সবাই। বিদায়বেলায় তাই একটা ধন্যবাদ অবশ্যই প্রাপ্য এই ওপেনারের।
খেলা - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আছিয়ার শেষ স্বীকারোক্তি: আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- আইপিএলে তাসকিনকে দলে নিবে কি না জানিয়ে দিলো লখনৌ
- শেয়ারবাজারে কারসাজি: বিএসইসি'র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে সামনে এলো গুরুত্বপূর্ণ নাম
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার (১৩ মার্চ ২০২৫)
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- শিশু আছিয়া ধ/র্ষণ ও হ/ত্যা মামলার প্রধান আসামী হিটু শেখের আদালতে স্বীকারোক্তি
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট জানা গেল সত্যতা
- দুই কোটি নয় মুস্তাফিজকে দলে নিতে কলকাতাকে গুনতে হবে ৬.৫ কোটি রুপি
- মুস্তাফিজ নাকি তাসকিন আইপিএল খেলার জন্য কাকে এনওসি দিবে বিসিবি
- দ্য হান্ড্রেডে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার শেষ হলো নিলাম
- ৭৫ লাখ রুপিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজের সতীর্থ
- বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত: শেয়ারবাজারে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ৬ সংকটাপন্ন ব্যাংক