ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

কয়েক দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের, হতে পারে বৃষ্টি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জানুয়ারি ০৩ ১২:১০:১৮
কয়েক দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের, হতে পারে বৃষ্টি

হিমেল ব্রিজ এবং কুয়াশা উত্তর জেলার লালমনিরহাটে পড়েছিল। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) মেলায় শীতকালে ললমিরহাতের বাসিন্দারা কাঁপুন। জেলা তাপমাত্রা বুধবার (৩ জানুয়ারী) ৯ এ ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৯:০০ এ পরিমাপ করা হয়েছিল। যদিও তাপমাত্রা শীঘ্রই বৃদ্ধি পায়, এই মাসে আরও একটি তরঙ্গ এবং ঠান্ডা বৃষ্টি হতে পারে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

হিমালয় ঘেঁষা হওয়ায় বরাবরই উত্তরের এই জেলাতে শীত বেশি অনুভূত হয়। আর শীতকাল এলেই ছোট হয়ে আসে দিন, বাড়ছে রাতের পরিধি আর কমেছে তাপমাত্রা। শিশির-ভেজা ভোরে ও রাতের বেলা বৃষ্টির পানির মতো কুয়াশা পড়তে দেখা যাচ্ছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত দুই দিন ধরে উত্তরের এই জেলাতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।

গত সপ্তাহে জেলায় মৃদু ঠান্ডা অনুভূত হলেও এই সপ্তাহ থেকে ঠান্ডা বেড়েই চলেছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা উষ্ণ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে কমছে তাপমাত্রা। রাতে তা গিয়ে ঠেকছে আরও কমে। আর তার সঙ্গে রয়েছে কুয়াশা। রাতের বেলা টিনের চালে অনেকটা বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরছে, সকাল হলেই সেই শিশির ঘাসে, গাছে ও ফসলে সূর্যের আভায় ঝিলিমিলি করছে। কিন্তু দুদিন ধরে চিত্র কিছুটা ভিন্ন হয়েছে। সকাল হয়ে দুপুর গড়ালেও সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে তাপমাত্রার পারদ উঠছে না। ফলে শীতে কাবু হতে হচ্ছে মানুষ। শীত থেকে বাচতে ভারি কাপর, সোয়েটার জ্যাকেট পড়তে হচ্ছে। কনকনে শৈত্যপ্রবাহ থেকে বাচতে কান মুখ ঢেকে চলতে হচ্ছে।

এদিকে রাতের বেলা ঘন কুয়াশার ফলে বিভিন্ন যানবাহন অতিরিক্ত লাইট লাগিয়ে চলাচল করছে যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। অনেক গাড়িতেই রঙ্গিন নিয়ন লাইট লাগিয়ে চলাচল করছে।

লালমনিরহাটের চলমান এই আবহাওয়ার উঠানামায় শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এ শীত।

শিশুদের সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বয়স্ক ও এজমা রোগীদের শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে জেলার চার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সদর হাসপাতালে এসব রোগীর ভিড় বেড়েছে। প্রতিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত প্রায় ৩৫-৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। জরুরি বিভাগেও এসব রোগের চিকিৎসা নিয়ে অনেকে হাসপাতালের চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। শিশু বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা এসব রোগ থেকে বাঁচতে দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমলাবাড়ি ইউনিয়নের আমেনা বেগম বলেন, আমার দুই বছরের ছেলের কয়েকদিন ধরে সর্দি কাশিতে ভুগছে। তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি। নিউমোনিয়া যাতে না হয় সেজন্য খুব সতর্ক থাকতে হচ্ছে।

জেলার আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন এলাকার কৃষক আব্দুল মজিত বলেন, দুই দিন ধরে সূর্য উঠছে না। ফলে ক্ষেতে কাজ করতে পারছি না। বেশি শীত হলে ফসলের ক্ষতি হবে।

ভাদাই এলাকার রিকশাচালক আনিস মিয়া বলেন, যে ঠান্ডা পড়তেছে মানুষ ঘর বাড়ি থেকে জরুরি কাজ ছাড়া বের হচ্ছে না। বাইরে আসলেও ব্যাটারিচালিত রিকশায় উঠতে চায় না। আয় তেমন না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছি।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, দুদিন ধরে তাপমাত্রা কমছে। তবে দু-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। এ মাসের মধ্য থেকে শেষ দিক পর্যন্ত আবারও একটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। এছাড়াও চার থেকে পাঁচ তারিখের দিকে আকাশে মেঘমালা দেখা দিতে পারে। যাতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে