ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

আইপিএলে অপমানের ঝাল তুললেন ৫৭ বলে ১১৯ রানের ঝড়ে

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ ডিসেম্বর ২০ ১৬:১৩:১২
আইপিএলে অপমানের ঝাল তুললেন ৫৭ বলে ১১৯ রানের ঝড়ে

মঙ্গলবার আইপিএল ২০২৪-এর নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। ফিল সল্টের নামও উঠে আসে। কিন্তু কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে কিনতে চায়নি। কিন্তু নিলামের সময় শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখে যদি অধিভুক্ত হৃদয় তার মাথা ঠেকে যায়!

ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে কাল মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ইংলিশ ওপেনার সল্ট ৫৭ বলে ৭ চার ও ১০ ছক্কায় ১১৯ রানের তাণ্ডব চালিয়েছেন।

এমন না যে নিলামের আগেও এমন কিছুর ইঙ্গিত দেয়নি সল্ট। উইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে বসে ইংলিশরা। সে দুই ম্যাচেও ছন্দে ছিলেন সল্ট। প্রথম ম্যাচে মাত্র ২০ বলে ৪০ রান করেছেন তিনি। পরের ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।

তৃতীয় ম্যাচে সল্ট হাজির হন আরও ভয়ংকর রূপে। মাত্র ৫৬ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ২৭ বছর বয়সী ডানহাতি ওপেনার। কিন্তু কাল ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেই। তাঁর ঝড়ে ৭৫ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে সফরকারীরা।

নিলামের আগে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থাতেও গতকালের আইপিএল নিলামে অবিক্রীত থেকে গেছেন সল্ট। এ নিয়ে অবশ্য নিজের হতাশার কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, ‘আমি আশা করেছিলাম দল পাব। গত বছর সেখানে খেলেছি এবং ভালোই করেছিলাম। এক বছর পর আজ আমি এই পর্যায়ে। কিন্তু কিছু বিষয়ে আমাদের হাত থাকে না। নিলাম অনেকটা লটারির মতো। আমি কিছুটা হতাশ । কিন্তু এটা হতেই পারে। তালিকায় যে-সব ক্রিকেটার আছেন, তাঁরা কেউ খারাপ খেলোয়াড় নন।’

গত আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ৯ ম্যাচে ২১৮ রান করেছিলেন সল্ট। রানের দিক থেকে খুব ভালো বলা না গেলেও তাঁর স্ট্রাইকরেটটা বেশ ঈর্ষণীয়, ১৬৩.৯১।

একই দিনে ভিন্ন দুই রকমের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন সল্ট। একদিকে মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। অন্যদিকে আইপিএলের নিলামে অবিক্রীত থাকা। এজন্য দিনটাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান।

সল্টের বিভ্রান্তিকর দিনে ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভমান পাওয়েল। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন দুই ইংলিশ ওপেনার। সল্ট-জস বাটলারের প্রথম উইকেটের জুটিতে ৯.৫ ওভারে ১১৭ রান তোলে ইংল্যান্ড।

২৯ বলে ৫৫ রান করে ইংলিশ অধিনায়ক ফিরে গেলেও রানের গতি কমেনি সফরকারীদের। এরপর উইল জ্যাকস মাত্র ৯ বলে ২৪ রানের ক্যামিও খেলে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় উইকেট হিসেবে ফিল সল্ট যখন আউট হলেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪৬। অন্য প্রান্তে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোনের ২১ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে রেকর্ড ২৬৭ রান তোলে ইংল্যান্ড।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে শুরুতেই উইকেট হারাতে থাকে উইন্ডিজ। মাত্র ৪০ বলেই ১০০ রানে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ততক্ষণে নেই ৪ উইকেট। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেল (২৫ বলে ৫১ রান) ছাড়া কেউ হাল ধরতে পারেনি স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ২৭ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ।

বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের এই ম্যাচটি অবশ্য বেশ কিছু রেকর্ড দেখেছে। ম্যাচে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা ছক্কা মেরেছেন ১৯টি, যা টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের এক ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেই সর্বোচ্চ ২০ টি ছক্কা মেরেছিল জস বাটলাররা।

সে ম্যাচে দুই দল মিলে ৩৪টি ছক্কা মেরেছিল, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডে দ্বিতীয়। অন্যদিকে এ ম্যাচে দুই দলের ব্যাটসম্যানরা উড়িয়ে বাউন্ডারি পার করেছেন ৩৩ বার, যা এক ম্যাচে ছক্কার রেকর্ডে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এ বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৫ ছক্কার ম্যাচটি আছে সবার ওপরে।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ